তৃণমূল বিধায়কের সামনেই ক্ষোভ গ্রামবাসীদের, বিজেপির চক্রান্ত দাবি বিধায়কের

লাল্টু : বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের কর্মী সমর্থক থেকে বিধায়করা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন জনসংযোগ বাড়াতে। আর এই জনসংযোগ বেড়াতে গিয়েই সরাসরি গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি। যদিও তাঁর অভিযোগ, সম্পূর্ণটাই বিজেপির চক্রান্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে। ওই দিন বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি স্থানীয় একটি ক্লাবে আলোচনা করার পর ফেরার সময় তার সামনে গ্রামবাসীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেয় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভোটে জেতার পর গ্রামে পাঁচ বছরে দেখা যায়নি বিধায়ককে। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশরা। বিধায়ক সেইসময় গ্রামবাসীদের জানান, কাজ হয়নি তা আপনারা আমাকে জানালেন না কেন? এর উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান, ‘প্রতিবাদ করতে গেলেই তো কেস দেওয়া হবে।’ যদিও বিধায়ক জানান, তা কি কখনো হয়। এই ভাবেই গ্রামবাসীদের একাংশ বিধায়কের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ গত বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সে সকল প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। যে কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে তা কি আদৌ পূরণ করা হবে তাই তাদের কাছে প্রশ্ন। তাই তাদের দাবি আগে দিক তারপর ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গ আসবে।

যদিও পরে নরেশ চন্দ্র বাউড়ি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছেন, “এই ঘটনা সম্পূর্ণ বিজেপির চক্রান্ত। ক্লাবে আলোচনা করার সময় কোন রকম ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। আমি যখন বেরিয়ে আসছি সেই সময়ই আমার সামনে এসে দুই থেকে তিনজন এইরকম নানান প্রশ্ন করতে থাকেন। আমাকে খুব বিক্ষোভ জানায়নি। একটা ভিডিও করে ভাইরাল করে দিয়েছে। যারা ঐদিন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিজেপির সদস্য।”

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ক্ষোভ প্রকাশ স্বাভাবিকভাবেই শাসকদল তৃণমূলকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলবে বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এইভাবে চক্রান্ত করে তৃণমূলের উন্নয়নকে আটকানো যাবে না।