কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া রাজ্যে লকডাউন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই, মুখ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণ বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে বেশকিছু রাজ্য। রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্ণাটক, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, এমনকি উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের নামও। যে কারণে নতুন করে লকডাউন জারি হওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে চতুর্দিকে। আর এই লকডাউনের জল্পনাকে উসকে দিয়েছে গত বৃহস্পতিবারের ওড়িশা সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। ওড়িশা সরকার তাদের রাজ্যের যে চার জেলায় সব থেকে বেশি সংক্রমণ সেই চার জেলায় আগামী ১৪ দিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে। তবে লকডাউন নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় আপাতত লকডাউন বাড়ানো নিয়ে পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের।

শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানান, “এখন ১৪৭০৯ টি অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছে রাজ্যে। এই সংখ্যার মধ্যে ৭২% মত উপসর্গহীন। সংখ্যার হিসাবে ১০,০০০ এর থেকে বেশি। উপসর্গ থাকা রোগীর সংখ্যা ২২০০। মোডারেট রয়েছে ১২৫০। আর এসব বাদ দিয়ে সিরিয়াস রোগীর সংখ্যা ৬০৭। শতাংশের হিসাব ৪.৫%। আর এই ৬০৭ জনের জন্য আমাদের সিরিয়াস ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। যেখানে গত কয়েক বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খুব উন্নতি হয়েছে। অজস্র হাসপাতাল রয়েছে, রয়েছে অজস্র ডাক্তার নার্স।”

এছাড়াও তিনি জানান, “পশ্চিমবঙ্গের মৃত্যুহার নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। যেখানে বলা হচ্ছিল দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। সেখানে আজ সেই মৃত্যুহার এসে পৌঁছেছে ২.৭৬%, যেটা কেন্দ্রের মৃত্যুহারের খুব কাছাকাছি। বর্তমানে কেন্দ্রের মৃত্যুহার হার ২.৫৩%। সুতরাং এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। যেখানে অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি অনেক খারাপ। আগামীদিনে আরও সংক্রমণ বাড়বে। সংক্রমণ বাড়বে গ্রামীণ এলাকাতেও। কিন্তু ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। রাজ্য সরকার সমস্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

আর এই বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে পুরো লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আপাতত রাজ্যে লকডাউন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতেই লকডাউন চলবে।” পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি এটাও জানেন যে, “যেখানেই সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘন হয়েছে সেখানেই সংক্রমণ বেড়েছে।”