ঘড়িতে ঘণ্টার কাঁটা ছোট আর মিনিটের কাঁটা বড়ো কেন! পিছনে রয়েছে অদ্ভুত কারণ

দার্শনিকরাও বলে থাকেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস সময় (Time)। যে সময়কে কাজে লাগায়নি তাঁকে পরে অনুতপ্ত হতে হয়। সময় দেখার জন্য মানুষ ঘড়ির দিকে তাকায়। ঘড়িতে ঘণ্টা (Hour), মিনিট (Minute) এবং সেকেন্ডের (Second) কাঁটা থাকে আমরা সবাই জানি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন ঘণ্টার কাঁটা ছোট আর মিনিটের কাঁটাটি বড় হয়?

সময় এমন একটি জিনিস যা আমাদের সকলের জীবনেই অত্যন্ত মূল্যবান। প্রতিটি মুহূর্ত, মিনিট, সেকেন্ড বুঝিয়ে দেয় জীবনের মানে। আর সেই সময় আবার খুব মজারও। ঘড়ির কাঁটার নিরলস চলনেই নির্ধারিত হয় এক একটি অলীক মুহূর্ত যা কখনও সুখের, কখনও বা দুঃখের। আর আমরা গুনতে থাকি জীবনের ভাল সময়, মন্দ সময়, দিন কাল মাস বছর।

ঘড়ি (Clock) অনেক আগেই তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ঘড়ি কোনও কারণে বন্ধ হলে তা ফের চালু করতে হত। আর তখন সময় ঠিক করতে ঘড়ির কাঁটা (Hands of clock) হাত দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে হতো। আর যেহেতু মিনিটের কাঁটা ঘোরালেই ঘণ্টার কাঁটাও ঘুরে যায়। তাই মিনিটের কাঁটাই ঘোরানো হত। ঘণ্টার কাঁটা যদি মিনিটের কাঁটার সমান বা বড় হত তাহলে ঘোরানোর সময় মিনিটের কাঁটায় হাত লেগে সেটাও ঘুরে যেতে পারত। সামান্য ছোঁয়াতেও এদিক ওদিক হতে পারত সঠিক সময়। এটা একটা কারণ মিনিটের কাঁটা বড় হওয়ার।

এর পিছনে আরও একটি কারণের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এটি করা হয় যাতে দর্শকরা ঘণ্টার কাঁটা এবং মিনিটের কাঁটার মধ্যে পার্থক্য জানতে পারে। যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়। কাঁটা দুটি সমান হলে একই জায়গায় পৌঁছে গেলে, সকলকে সময় (Time) দেখতে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে কাউকে। নাহলে বোঝাই যাবে না ঠিক কোন সময় দেখাচ্ছে ঘড়িটি। কিছু সময় অপেক্ষার পরেই মানুষ বুঝতে পারবেন আসল সময় কোনটি। নাহলে কিন্তু বোঝা কঠিন হয়ে যাবে। দুটি কাঁটার দৈর্ঘের পার্থক্যের পিছনে এটি একটি বড় কারণ।

আরো একটি কারণ বলা হয়েছে এই ঘটনার জন্য। সেই কারণ অনুযায়ী ঘণ্টার কাঁটা ধীরে ধীরে চলে এবং তা দুই অঙ্কের মধ্যে হলেও, এটি দেখে সময় নির্ণয় করা যায়। কিন্তু মিনিটের কাঁটাটি যেহেতু অপেক্ষাকৃত দ্রুত চলে এবং সহজেই দৃশ্যমান হয় তাই এই কাঁটাটি বড়ো করা হয়। আর কাঁটার দৈর্ঘ্য ঘণ্টার কাঁটার সমান হলে মাঝে মাঝেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো বলে মনে করা হয়। আর সেই কারণেই এই দুই কাঁটার আকারের পার্থক্য করা হয়েছে।