করোনার জেরে বিরল ছবি তারাপীঠে, নববর্ষেও খাঁ খাঁ করছে মন্দির প্রাঙ্গণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু নববর্ষ বলে নয়, বছরের কোন দিনই এইভাবে দেখা যায়নি বীরভূমের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠ মন্দির প্রাঙ্গণকে। একেবারে বিরল ছবি, খাঁ খাঁ করছে সম্পূর্ণ মন্দির প্রাঙ্গণ। বিগত কয়েক দশক ধরে কোনদিন তারাপীঠ মন্দির প্রাঙ্গণকে এইভাবে দেখা গিয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। বিশেষ করে এমন নববর্ষের দিনে। মন্দির প্রাঙ্গণে কেবলমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন সেবাইত।

নতুন বছরের ১লা বৈশাখের দিন তারাপীঠে হাল খাতার পুজো করে নতুন বছরে ব্যবসা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। পুজোর ডালিতে নতুন খাতার সঙ্গে লক্ষী ও গণেশের মুর্তি সাজিয়ে মাতার কাছে হালখাতার পুজো করতে আসেন বহুমানুষ। পরিবারের মঙ্গল কামনা করে এই দিনে মাতার কাছে প্রার্থনা করতে আসেন সাধারণ মানুষজনও। সব মিলিয়ে তারাপিঠে উপচে পরে পূর্ন্যার্থীদের ভীড়। কিন্তু এবছর!

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে চলা লকডাউনে তারাপীঠে সেই চেনা ছবি আজ একেবারেই অচেনা। থিকথিকে ভীড়ে ঠাসা তারাপীঠ আজ শুনশান। নিয়ম মেনে শুধুমাত্র সেবাইত দেবী তারার নিত্য পুজো করছেন। করোনা সচেতনতার জন্য ভক্তদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। COVID-19 গ্রাস করেছে সমস্ত কিছু।

এবার বর্ষবরণে দিনে সতীপীঠের অন্যতম পীঠ কংকালীতলাতেও বহু ব্যবসায়ী একই সঙ্গে শহর বাসিন্দারা বাংলার বর্ষবরণ করে পুজা অর্চনা মধ্যে দিয়ে। একই সঙ্গে বিশ্বভারতী উপাসনা গৃহে সকালে বৈকালিক ও মন্ত্রপাঠের মধ্যে দিয়ে বাংলার বর্ষবরণ হয় থাকে ও সন্ধ্যাবেলাতে একাধিক অনুষ্ঠান কর্মসূচি হয়, তবে এবছর সমস্ত কিছু বাতিল করা হয়েছে।

তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত নিত্যানন্দ চ্যাটার্জি জানান, “প্রশাসনিকভাবে আমরা মন্দিরের কাজকর্ম রীতিনীতি চালানোর জন্য ৫ জন পাস পেয়েছি। সেই পাঁচ জন মিলেই সমস্ত কাজকর্ম চালাচ্ছি। আজ অর্থাৎ নববর্ষের দিন ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে আমরা নিয়ম মেনে তারা মাকে রাজবেশে সাজিয়ে পূজার্চনা করছি।”