বাংলায় রয়েছে ‘রেডিও কাকু’, মহালয়ার আগে জেনে নিন তার কীর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই মহালয়া। মহালয়ার ভোর থেকেই এখনো অধিকাংশ বাড়িতেই বেজে ওঠে রেডিও। আসলে মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া রেডিওতে না শুনলে বাঙ্গালীদের মন ভরে না। সে কারণে প্রতিবছর মহালয়া আসার আগে দিন কয়েক ধরেই রেডিও সারাতে ভিড় জমাতে দেখা যায় রেডিওর দোকানে।

রেডিওর ব্যবহার কমে গেলেও রেডিও সারাইয়ের দোকান কম নেই এপার বাংলায়। কিন্তু জানেন কি এসব মেকানিকদের মধ্যেই একজন রয়েছেন ‘রেডিও কাকু’। ১৭ বছর বয়স থেকে তিনি রেডিও সারাইয়ের কাজ করেন। এই দীর্ঘ সময় ধরে রেডিও সারাইয়ের কাজ করতে করতে তিনি আজ রেডিও কাকু নামেই পরিচিতি লাভ করেছেন।

রেডিও কাকু নামে পরিচিতি লাভ করা এই মানুষটি হলেন উত্তর কলকাতার কুমারটুলির অমিত রঞ্জন কর্মকার। তিনি ১৭ বছর বয়স থেকে রেডিও সারাই করার কাজ শুরু করলেও ২০০০ সাল থেকে তার ব্যবসা অথৈ জলে যেতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে সংসার চালানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে তিনি কখনো হাল ছেড়ে দেননি।

পরবর্তীতে ২০১০ সাল থেকে তার ভাগ্যের চাকা ফের ঘুরতে শুরু করে। তার ব্যবসা ফের গতি পায় কুমারটুলিতে আসা ফটোগ্রাফারদের দৌলতে। যে কারণে আজ তিনি তার ব্যবসার গতি ফিরে পেয়ে এই সকল ফটোগ্রাফারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে ভোলেন না।

কুমোরটুলির এই রেডিও কাকুর দোকানে কি কি ধরনের রেডিও রয়েছে তা দেখলেই আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এখানে ব্রিটিশ আমলের কাঠের বড় বড় বাক্সের রেডিও-ও রয়েছে। তার এই দোকান এখন ছোটখাটো রেডিওর মিউজিয়াম বলা যেতে পারে। আর যদি এসব বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনিও একবার কুমোরটুলির রেডিও কাকুর দোকান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।