বাংলার তিনজন পেলেন পদ্মশ্রী, শুধু জলপাইগুড়ি থেকেই ২, রইল তাদের তালিকা ও কীর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে প্রতিবছর ভারত সরকারের তরফ থেকে পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তিনজন কৃতি সম্মানিত। তিনজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হবে দুইজনই জলপাইগুড়ি থেকে। তিনজন হলেন মঙ্গলকান্তি রায়, ধনীরাম টোটো এবং প্রীতিকণা গোস্বামী।

মঙ্গলকান্তি রায় : মঙ্গলকান্তি রায় জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এবং তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন শিল্প-কলা বিভাগে। ১০২ বছর বয়সে তিনি পদ্মশ্রী পেলেন। সারিন্দার জাদুতে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করে তোলেন। ৮ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ওয়ার্কশপ চালাচ্ছেন সারিন্দা নিয়ে। বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে পাখিদের সুর ৮ থেকে ৮০ সবাইকে মুগ্ধ করে।

ধনীরাম টোটো : প্রথাগত কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই কেবলমাত্র ভালোবাসা থেকে তিনি পুরাতন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে উপভাষা নিয়ে কাজ করেন। ধনীরাম টোটোও জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। টোটোপাড়ার বাসিন্দা ধনীরাম টোটো (ডুমরা থিরতে) ভাষাকে রক্ষা করছেন।

টোটো ভাষাকে ইউনেস্কোর তরফ থেকে লুপ্তপ্রায় ভাষার তকমা দেওয়া হয়েছে। এই ভাষার জনক হলেন ধনীরাম টোটো। এই ভাষায় মোট ৩৭টি অক্ষর রয়েছে এবং এই ভাষায় তিনি দুটি উপন্যাস লিখেছেন। ৫৭ বছর বয়সী ধনীরাম টোটো এবার সাহিত্য ও শিক্ষায় পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত।

প্রীতিকণা গোস্বামী : পদ্মশ্রী প্রাপ্তদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার তিনজনের মধ্যে একজন হলেন প্রীতিকণা গোস্বামী। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তিনি ঐতিহ্যবাহী কাঁথাস্টিচকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি গ্রামের মহিলাদের ক্ষমতায়ন করার কাজ চালাচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গের এই তিনজন ছাড়াও মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা ওআরএসের স্রষ্টা দিলীপ মহালানবীশ। দিলীপ মহালানবীশ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা থেকে ফিরে এসে বনগাঁ সীমান্তে কলেরা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করেছিলেন।