নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার বীরভূম জেলাশাসকের বাংলোর তিন অস্থায়ী কর্মীর শরীরে মিললো করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। আর ঘটনার পরেই উদ্বেগ বেড়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে।
জানা গিয়েছে, ওই তিনজনের করোনা পরীক্ষা করা হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকে এদিন মোট পাঁচ জনের করোনা আক্রান্তের উল্লেখ রয়েছে। আর এই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বাংলোর অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে। আর ওই তিনজনের মধ্যে দুজন মহিলা। সদ্য করোনা আক্রান্ত এই তিনজন জেলাশাসকের বাংলোর বাগান পরিচর্যার কাজে যুক্ত অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গেছে। জেলাশাসক তা স্বীকারও করেছেন।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিক ভাবে উদ্বেগ বেড়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি জেলাশাসক নিজে এই ঘটনার পর কোয়ারান্টিনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সিউড়ি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্তদের এদিন বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আক্রান্তরা প্রত্যেকেই উপস্বর্গহীন। শুক্রবার সকাল আটটা থেকে জেলাশাসকের বাংলো স্যানিটাইজ করবে পৌরসভা বলেও জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ।
বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, ”আমার বাংলোর তিন কর্মীর দেহে করোনার খোঁজ মিলেছে। আমি তাদের তাদের সংস্পর্শে না এলেও সমস্ত দিক বিবেচনা করে সেল্ফ কোয়ারান্টিনেই থাকব।”
অন্যদিকে বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে হু হু করে। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা সংক্রান্ত তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায় বীরভূমে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২২ জন। জেলায় মোট করোনা পজিটিভ ৪০১। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন। মোট সুস্থ ৩৩৭। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। যার পরেই জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪। আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহ জেলার ৬টি শহরে বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন।
আর বৃহস্পতিবারের রাজ্যজুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউনের বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “লকডাউন সফল করতে পুলিশ সচেষ্ট। যারা বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”