Titanic House: চাষাবাদ করেও স্বপ্নপূরণ, বানাচ্ছেন অবিকল টাইটানিকের মত জাহাজ বাড়ি

Farmer Build his house as like Titanic: এই ইন্টারনেটের যুগে মানুষকে কত কিছুই না দেখতে হয়। আস্ত টাইটানিক জাহাজের মত বাড়ি (Titanic House) বানিয়ে ফেলে অবাক করে দিলেন সকলকে। একবার কলকাতায় জাহাজের আদলে পুজোর প্যান্ডেল দেখে তার মনে সাধ জেগেছিল ঠিক এমনই বাড়ি বানাবেন। এত বড় স্বপ্ন পূরণ করা সত্যি মুখের কথা নয়। অবশেষ পেশায় কৃষক মিন্টু রায় তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিয়েছেন।

আদতে তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হেলেঞ্চার বাসিন্দা, নাম মিন্টু রায়। তিনি ২০ বছর আগে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফাঁসিদেওয়া অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তার বাবার নাম ছিল মনোরঞ্জন রায়, যার হাত ধরেই তার শিলিগুড়িতে আসা। সেই ঘটনার পরও বহু বছর কেটে গিয়েছে। অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও নিজের ইচ্ছেটাকে কোনওদিনও মরে যেতে দেননি মিন্টু। আজ অবশ্য তার বাবা বেঁচে নেই কিন্তু তার স্বপ্নপূরণ করেছেন মিন্টু।

স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে যে, প্রায় ১২ বছর ধরে এই টাইটানিক বাড়িটি (Titanic House) বানানোর কাজ চলছে। তবে আর্থিক সমস্যা কিন্তু সবথেকে বড় সমস্যা। যার কারণে মিন্টু এখনও ওই বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ শেষ করতে পারেননি। মিন্টু জানিয়েছেন যে, তিনি স্বপ্ন দেখেন দ্রুত তাঁর বাড়ির কাজ শেষ হবে। অবশ্য জাহাজ বাড়ির ছাদে রেস্তোরাঁ খোলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

বাড়িটির উচ্চতা হল ৩৫ ফুট। তবে সেই জাহাজ বাড়ি (Titanic House) অধিকাংশই এখন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই স্বপ্নপূরণের জন্য এখনো অবধি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তাই এই বাড়ি তৈরি করা মুখের কথা নয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিন্টু নিজে পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বাড়ি তৈরির কাজে সাহায্য করেন। তাঁর স্ত্রীও এই কাজে তাঁকে অনেক সাহায্য করেন। মিন্টুর এখন একটাই আক্ষেপ যদি বাবা-মা বেঁচে থাকতো তাহলে এই বাড়ির কাজ দেখে নিশ্চয়ই খুশি হতেন।

মিন্টু দীর্ঘদিন কর্মসূত্রে মুম্বাই ও কলকাতাতে সময় কাটিয়েছেন। তিনি মু্ম্বইতে জাহাজের আদলে তৈরি বাড়িও দেখেছেন। কিন্তু, তিনি যে একজন কৃষক। পেশায় কৃষক হয়ে এত বড় স্বপ্নপূরণ সত্যি সাধ্যের বাইরে। একটি বাড়ি তৈরি করতে সাধারণত বহু টাকা লাগে। তাও যদি হয় জাহাজ বাড়ি তাহলে তো কথাই নেই। এত টাকার যোগান আসবে কোথা থেকে? তবে ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই উপায় বের হয়। চাষাবাদ করেই টাকা জমিয়ে স্বপ্নের বাড়ি বানাচ্ছেন মিন্টু।