মাথায় ৪০ লাখের ঋণ, হেলিকপ্টারে বসে ছবি পোস্ট করতেই ট্রোলড সায়ন্তিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : রুপোলি পর্দার বাইরে বেরিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা দিতেই বিধানসভা ভোটের টিকিট পেয়েছিলেন তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আদাজল খেয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। বাঁকুড়ার মানুষকে খুশি করতে তাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করার পাশাপাশি তাদের বিনোদনের জন্য কখনো নেচেছেন কখনো আবার আমজনতার প্রতি ছুড়ে দিয়েছেন উড়ন্ত চুমু।

এতকিছুর মধ্যেও বিতর্ক কখনোই তার পিছু ছাড়েনি, নির্বাচনের টিকিট পাওয়া থেকে শুরু করে ভোটের দিন টাকা বিলি করার বিষয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। আবার ভোট মেটার পরে সম্প্রতি নিজের ছবি পোস্ট করেও ট্রোলড হয়েছেন এই তারকাপ্রার্থী।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট এখনো না মিটিলেও সায়ন্তিকার কেন্দ্রের ভোট মিটে গেছে। তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে হেলিকপ্টারে ঘুরছিলেন তারকাপ্রার্থী। সেই ছবি তুলে পোষ্ট করতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তিনি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে মিলিটারি প্রিন্টেড টপ আর অলিভ গ্রিন রঙের ট্রাউজার পরে আছেন সায়ন্তিকা। চোখে রয়েছে ব্রাউন সানগ্লাস। হেলিকপ্টার থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। ক্যাপশনে ‘ওয়ান্ডার লাস্ট’ লিখে এই ছবি পোস্ট করতে নেটিজেনদের বাক্যবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে তারকা প্রার্থীকে।

রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে জননেত্রীর এই ধরনের ছবি দেখে নেটিজেনরা যে বেশ চটেছেন তা সায়ন্তিকার কমেন্ট বক্স দেখলেই বোঝা যায়। নায়িকাকে রীতিমত তুলোধোনা করে কমেন্ট বক্সে লেখা হয়েছে, ‘পার্টির দৌলতে হেলিকপ্টারে চড়ে নিন, এমনিতে তো পয়সা নেই’। কেউ আবার উন্নয়নের প্রশ্নে তৃণমূল প্রার্থীকে বিঁধেছেন, ‘আপনি বরং উপর থেকে হেলিকপ্টারে চড়েই উন্নতি দেখুন’। কোন ক্ষুব্ধ নেটিজেনের আবার সায়ন্তিকার ওপর অভিযোগ, ‘পাবলিকের টাকা ঝাড়ার ধান্দা’, ভোটের বাজারে ‘দু পয়সা কামিয়ে নেওয়ার’ পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ।

বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় অন্যান্য প্রার্থীদের মত সায়ন্তিকাকেও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে হলফনামা পেশ করতে হয়েছিল। সেই হলফনামায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীর হাতে নগদ টাকা আছে মাত্র ৪৩ হাজার ১২৭, আর ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেনজ্ গাড়ি আছে। তবে তার ঋণের অঙ্ক দেখে নির্বাচন কমিশনের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল। ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকার ঋণের বোঝা তার মাথায়।

উল্লেখ্য সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে ভোটের দিন ভোটারদের টাকা বিলি করার অভিযোগ এনেছিলো বিজেপি। এই অভিযোগ নাকচ করে বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন সায়ন্তিকা।