তৃণমূলকে আক্রমণ করতেই শোভনকে শুনতে হলো ‘বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড় বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে শোভন বৈশাখী জুটি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও মাঠে নামতে দেখা যায়নি। নামবো নামবো করে কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ এই সময়। তবে এই দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেওয়ার পর গোসা ছেড়ে অবশেষে রবিবার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয় এবং সোমবার রোড শো ও সভায় বক্তব্য রাখতে দেখা যায় দুজনকে।

Advertisements

Advertisements

দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো করার পর সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শোভন ও বৈশাখী দুজনেই চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন তৃণমূলকে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শাসকদলের অন্দরের দুর্নীতি ছবি উঠে আসে শোভনের গলায়। পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তব্য রাখার সময় খোঁচা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকেও। শোভন চ্যাটার্জিকে বলতে দেখা যায়, বিজেপির সংকেত পাওয়ার পরই তৃণমূল দলটা গঠন হয়। পাশাপাশি বৈশাখী নাম না করে ফিরহাদ হাকিমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এক দুষ্টু ভাই আবার এই শহরকে মিনি পাকিস্তান করতে চাইছে।”

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে কটাক্ষ করার জবাবও দেন শোভন। তিনি বলেন, “উনার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলেই এই সব বলছেন। যে রাজীব কুমারকে বাঁচাতে তিনি ধর্নায় বসেছিলেন। সেই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শিলংয়ে গিয়ে সাক্ষী দিয়ে আসা কুণাল ঘোষকেই দলের মুখপাত্র নিয়োগ করেছেন।”

আর দুজনের এই তৃণমূল কটাক্ষের পর তৃণমূলের থেকে একটি বাণ আসবে তা তো নিশ্চিতই ছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে শোভন বৈশাখীকে বিদ্ধ করতে কটাক্ষ এলো ‘শোভন তো বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি।’ সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শোভন প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি তো বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি। ওর কথার কি আর জবাব দিবো! উনি তো গত দেড় বছর ধরে বৈশাখীকে আর বৈশাখী উনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন তার উপরেই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের কথা ভাবলে খারাপ লাগে। তাদের এখন নেতার সাথে নেতার বান্ধবীর পায়েও তেল দিতে হচ্ছে।”

Advertisements