কর্মিসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অনুব্রত মন্ডলের হুঁশিয়ারি থানায় ভরে দেওয়ার

চন্দন কর্মকার : শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার কামদাকিঙ্কর স্টেডিয়ামে বীরভূম জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি কর্মীসভার। যে অনুষ্ঠানে মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি রানা সিং, সাঁইথিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত, সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়িকা লীলাবতী সাহা সহ এলাকার ব্লক সভাপতিরা ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা। বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পুনরালোচনার জন্যই এই কর্মীসভা বলে জানায় তৃণমূল।

কর্মীসভায় অনুব্রত মণ্ডল এলাকার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কর্মীদের বিগত লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের প্রসঙ্গ তুলে কারণ জানতে চান। ঠিক সেসময়ই ওঠে সাঁইথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রসঙ্গ। প্রশ্ন করা হয় বনগ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তুষার কান্তি মন্ডলকে। খারাপ ফলাফলের কারন হিসাবে বনগ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তুষার কান্তি মন্ডল জানান, “গত লোকসভা নির্বাচনে এলাকার অঞ্চল সভাপতি কুবির মন্ডল বিজেপির হয়ে ভোট করেছে। পাশাপাশি তার ছেলে সাহেব মন্ডল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুধ কুমার মন্ডলকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার জন্য।” এলাকায় রয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তা স্পষ্ট। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মন্ডল জানান, ‘এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

একথা শুনেই অনুব্রত মণ্ডল ব্লক সভাপতি সাবীর আলীকে নির্দেশ দেন সাহেব মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না হয় তাহলে হুঁশিয়ারি দেন সাবের আলীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণের। তিনি বলেন, “কালকের মধ্যে ওর নামে এফআইআর কর, ঢোকানোর দায়িত্ব আমার, আর না হলে তোকে ঢুকিয়ে দিবো।”

প্রসঙ্গত, আজকের এই কর্মীসভায় সাঁইথিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু রায় কয়েক মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আজ তাঁর ঘর ওয়াপসি হয়, অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে পুনরায় তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন।