রামপুরহাটের চেয়ারম্যানকে ধমক, ‘হনু’ না ‘লাট সাহেব’ প্রশ্ন অনুব্রতর

নিজস্ব প্রতিবেদন : “ব্যবসা করবি, চেয়্যারম্যান থাকবি, ডিএম মিটিং ডাকলে যাবি না। তুই এমন কি হুনু রে, না লাট সাহেব।” আজ রামপুরহাট শহরের হাইস্কুল মাঠে রামপুরহাট পুরসভার ১ নং নাগরিক অর্থাৎ রামপুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ‘হুনু’ আর ‘লাট সাহেব’ বললেন বীরভূম জেলা তৃনমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।

তৃনমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট বিধান সভার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল আজ রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে। বীরভূম তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল কর্মী সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এনআরসি হলে আমার রুখে দেব। কোথায় কি হবে জানি না, পশ্চিমবঙ্গে আমরা এনআরসি করতে দেব না। এক বিন্দু শরীরে রক্ত থাকলে করতে দেব না। অমিত শাহ বলতে পারেন। মমতা ব্যানার্জিকে তো দরকার এনআরসি করতে গেলে। রাজ্য সরকারের অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সইটা তো দরকার আছে। নয়তো জেলখানা বানাতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আসামে মুখ্যমন্ত্রী ছিল বিজেপির তাই ওই জন্য জেল বানিয়েছে, এনআরসি করেছে। পশ্চিম বাংলা সই না করলে তো পারবে না এনআরসি করতে। আমরা মেনে নেব এনআরসি?”

রামপুরহাট বিধানসভায় গত লোকসভায় আশানুরূপ ফল হয়নি তৃনমূল কংগ্রেসের। সেই বিষয়ে পর্যাচলনায় করতে গিয়ে রামপুরহাট ১ নং ব্লকের কুসুম্বা পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি রামপ্রসাদ সাহাকে পদ থেকে সরিয়ে দেন অনুব্রত মন্ডল। রামপুরহাট পুরসভার পুরপতি অশ্বিনী তিওয়ারিকেও শহরে ভাল ফল না হওয়ার জন্য সাবধান করেন। অশ্বিনী তিওয়ারিকে সাবধান করতে গিয়ে ধমক দেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই ধমক শুনে রীতিমত হাসির রোল শুরু হয় কর্মীসভায়। অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে ‘হনু’ আর ‘লাট সাহেব’ও বলেন। যা শুনেই হেসে উঠেন কর্মিসভায় উপস্থিত তৃণমূল সদস্যরা।

যদিও এই ধমক, ‘হনু’ বা ‘লাট সাহেব’ এই সকলকে তৃণমূলের কর্মীরা অনুব্রত মন্ডলের স্নেহ বলেই দাবি করেছেন।