বছরের ৬ লক্ষ টাকা বেতনের শান্তনুর কি-না নেই! লিস্ট দেখলে আকাশ ভেঙে পড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক শাসক দল তৃণমূলের নেতা, কর্মী এবং ঘনিষ্ঠরা জড়িয়ে পড়ছেন। এখনো পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের টাকাতেই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে টাকার পরিমাণ ঠিক কোথায় যেয়ে থামবে তা এখনো জানা নেই। কারণ তদন্ত চলছে আর সেই তদন্তে উঠে আসছেন একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ সহ আরও একাধিক ব্যক্তিদের পাশাপাশি এবার এই তালিকায় উঠে এসেছেন শান্তনু বন্দোপাধ্যায় (Shantanu Bandopadhyay)। গত শুক্রবার তাকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেফতার করার পরই তার সম্পত্তি নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যুৎ দপ্তরের একজন সাধারণ কর্মী। চাকরি করার সুবাদে তার বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা (যদি সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়)। কিন্তু এই অল্প পরিমাণ বার্ষিক আয়ে যেভাবে তিনি সম্পত্তির প্রাচুর্য গড়ে ফেলেছেন তার রীতিমত অবাক করছে পাড়া-প্রতিবেশীদেরও। এমনকি তিনি জীবনে প্রথম রোজগার করার জন্য সিম কার্ড বিক্রির দোকান খুলেছিলেন ২০০৫ সালে।

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা একজন বিদ্যুৎ কর্মী ছিলেন এবং তিনি মারা যাওয়ার পর সেখানে চাকরি পান। তবে সেই চাকরি দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করাটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ওয়াকিবহাল মহল এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়েই নিজের এবং স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক কি কি সম্পত্তি রয়েছে শান্তনুর এবং তার স্ত্রীর নামে।

নামে বেনামে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। জিরাটে শান্তনুর বাড়ির কাছে বারুইপাড়ায় রয়েছে ‘দ্য স্পুন’ নামে আধুনিক রেস্তরাঁ এবং ধাবা। এটি তৈরি করা হয়েছিল ২০২১ সালে। এমনকি যেখানে এই ধাবাটি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে চারটি পরিবার থাকত। যাদের সরিয়ে এবং পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধাবা তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।

এর পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের চাঁদরা-বটতলা অঞ্চলে গঙ্গাপারে বিশাল একটি রিসর্ট রয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের একজন সাধারণ কর্মীর রাজকীয় জীবন আকাশ থেকে ফেলতে পারে যে কাউকেই। রয়েছে দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, রেস্তরাঁ, রিসর্ট, হোমস্টে, জমি-জায়গা, ফ্ল্যাট ইত্যাদি।