শেষ তিন দফা ভোট কি একসাথে! কি বলছে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শেষ তিন দফা ভোট একসাথে হতে পারে, এমন জল্পনায় চরমে। মূলত জল্পনা তৈরি হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠককে কেন্দ্র করে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলও চাইছে শেষ তিন দফা ভোট একসাথে মিটিয়ে ফেলতে। শাসকদল মনে করছে, যেভাবে দেশ তথা রাজ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আরও চার দফা ভোট হলে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে পারে।

ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক রয়েছে যাতে পরবর্তী নির্বাচনগুলি সঠিকভাবে করোনা বিধি মেনে সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকেই তৃণমূল দাবি তুলবে শেষ তিন দফা ভোট একসাথে সেরে ফেলার। অন্যদিকে বামেরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বড় বড় মিটিং এবং অন্যান্য সমাবেশ থেকে বিরত থাকার। আবার রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। আর এই সকল একাধিক পরিস্থিতি ঘিরে নানান জল্পনা তৈরি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শাসক দল তৃণমূল একাধিক নেতা-নেত্রীকে বারংবার ৮ দফা ভোটের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। এমনকি দিন কয়েক আগেই চুঁচুড়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন আট দফায় নির্বাচন করা হচ্ছে। বিজেপির মণ্ডলরা ঠিক করে দিচ্ছে নির্বাচনের দিন। বলবে, কোভিড হয়েছে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দাও! এসব চলবে না। ভোট যখন শুরু হয়েছে, শেষ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কি ভোটটা ৩-৪ দফায় করা যেত না?”

[aaroporuntag]
আবার একই সুরে নববর্ষের দিন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে ৮ দফা ভোটকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তার অভিযোগ, “আট দফা নির্বাচনের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের নতুন করে করোনা এসেছে। এর জন্য দায়ী বিজেপি সরকার ও অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র।” অনুব্রত মণ্ডলের কথায় অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হলো নির্বাচন কমিশন।

তবে এমন নানান জল্পনা বাড়লেও বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত পর্যবেক্ষকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে একটি বৈঠক করা হয়। আর সেই বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় এমনটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনার সুনীল চন্দ্র জানান একসাথে তিন দফার নির্বাচন করতে হলে অতিরিক্ত ১৫০০০ বাহিনী লাগবে, যা সম্ভব নয়।