নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, ‘ধীরে ধীরে তার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।’ আর তাই-ই যেন ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বঙ্গ রাজনীতিতে চরম জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে অধিকারী পরিবারের সাংসদকে আমন্ত্রণ নিয়ে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন তিনি হলদিয়াই একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পত্র দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
সরকারি অনুষ্ঠানে একজন সাংসদকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হচ্ছে, সে বিরোধীদলেরই হোক না কেন তাতে জল্পনা থাকা উচিত। তবে জল্পনার সূত্রপাত অন্য জায়গায়। তৃণমূল এই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে বেশ কয়েক মাস ধরেই কোন সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। মূলে অবশ্যই তৃণমূলের সাথে অধিকার পরিবারের সম্পর্ক তলানীতে ঠেকা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। আর এর পরেই বিশেষজ্ঞ মহল তাকিয়ে রয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কিনা।
পাশাপাশি দিব্যেন্দু অধিকারী এখনো তৃণমূলের থাকলেও ইতিমধ্যেই তাকে সরানো হয়েছে তিনটি কলেজের পরিচালন কমিটির পদ থেকে। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়, তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয় ও নন্দীগ্রাম সীতানন্দ মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। আর এই তিনটি পদই তার থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই এই পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। আর এইসব পরিস্থিতি দেখে অদূর ভবিষ্যতে দিব্যেন্দু অধিকারি বিজেপিতে যোগদান কিনা, তা নিয়েই নয়া জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে।