নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক এমনিতেই দিনদিন তিক্ততার দিকে যাচ্ছিল। আর সেই তিক্ততা সরাসরি সমরে আসে যখন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর একাধিক জায়গায় দাবি করেছিলেন, ‘তার পরিবারেও পদ্ম ফুটবে।’ আর সেই প্রথম পদ্ম ফোটে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে দিয়ে। আর এবার বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে।
জানা গিয়েছে, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার রাতে আটটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর এই সকল প্রশাসনিক পদ চেয়ারম্যান থেকে ইস্তফা দেন। পাশাপাশি ইস্তফা দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধি পদ থেকেও। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তৈরি হয়েছে তৃণমূল ত্যাগের।
এমনিতেই দিন কয়েক ধরেই দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল যখন শোনা যায় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়াই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত। এরপর আবার শোনা যায় লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সাথে একান্ত সাক্ষাতে জন্য তিনি সময় চেয়েছেন। আর এই সকল একাধিক ক্রমাগত ঘটনা দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি করছে।
যদিও দিব্যেন্দু অধিকারি আগামী দিনে তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়বেন অথবা তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করবেন কিনা তা নিজের মুখে কিছু ঘোষণা করেননি। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে যে সকল তৃণমুল নেতাকর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তারা প্রত্যেকে একই ভাবে জল্পনা জিয়ে রেখেছিলেন। যে কারণে এখন দিব্যেন্দু অধিকারি কি করেন তার দিকেই তাকিয়ে তারা।
পাশাপাশি দিব্যেন্দু অধিকারী দল থেকে জল্পনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে প্রকাশ্য জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণা। যেখানে একটি সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, রামনবমীর আগে তার বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে। যদিও এই দলবদলকে তৃণমূলের তরফ থেকে সেভাবে পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। তাদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলেন সমুদ্রের মতো। সেখান থেকে সামান্য জল তুলে নিলে কোন ক্ষতি হয় না।