নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির শাসকদল তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এটা অনস্বীকার্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। তবে এমত অবস্থাতেই নিজেদের শাসনভার অটুট রাখতে তৃণমূলের তরফ থেকেও ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। আর এই ঘুঁটি সাজানোর দায়িত্বে রয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশলে শাসকদল তৃণমূল বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্যের পাঁচ জেলায়।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিশেষ নজরে থাকা পাঁচ জেলা হল দুই চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর। এই পাঁচ জেলায় ছাড়াও নদীয়ার ওপরেও তৃণমূলের বিশেষ নজর রয়েছে। কিন্তু কেন? এই ৫-৬টি জেলাকেই কেন তৃণমূল বিশেষ নজরে রাখছে। এর পিছনে রয়েছে বেশি সংখ্যক বিধানসভা। যে কারণেই শাসকদল তৃণমূলের কাছে পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর।
রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে এই পাঁচ জেলায় নীল নকশা তৈরি করছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এই সকল জেলাগুলিতে টিম পিকে এবং টিম তৃণমূল যৌথভাবে ভোট প্রস্তুতি কৌশল তৈরি করছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল এক নেতার কথায়, “বেশিরভাগ মানুষের কথা অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে বিজেপির ব্যাপক হওয়া। কিন্তু গোটা উত্তরবঙ্গ মিলে কটা আসন? মাত্র ৫৪ টা। আর দুই ২৪ পরগনা! দুটো মিলে এই আসন সংখ্যা অনেক বেশি। যেখানে তৃণমূলের আধিপত্য বেশি।”
এইসকল জেলাগুলিতে তৃণমূলের তরফ থেকে জনসংযোগকে দ্রুত থেকে দ্রুততম করার জন্য প্রতি ব্লকে ১৫ টি করে সভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে। পাশাপাশি সরকারি ক্যাম্পগুলি যাতে সর্বতোভাবে সফল হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি কর্মীদের ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল এই পাঁচ জেলায় কত সংখ্যক বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে?
উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে ৩৩ টি বিধানসভা কেন্দ্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে ৩১ টি বিধানসভা কেন্দ্র। এছাড়াও মুর্শিদাবাদে রয়েছে ২২ টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদীয়া জেলাতে রয়েছে যথাক্রমে ১৬, ১৯ এবং ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্র।