নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মমতা সরকার পুনরায় ২০১৬ সালে আরও জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে রাজ্যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে বিজেপি। ১৮টি আসনে জয় লাভ করে তারা। অন্যদিকে তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ২২টি। আর এই হারানো জমি ফিরে পেতেই মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাস পুরাতন ফর্মুলাতেই।
পুরাতন ফর্মুলার প্রয়োগ করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে কোনরকম দ্বিধা বোধ না করে স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘লোকসভায় গোহারা হেরেছি।’ জনসাধারণের কাছে বিনতি করেছেন, ‘এবারে পুষিয়ে দেওয়ার।’ আর এই বক্তব্য থেকে উত্তরের মন পেতে মমতার দাওয়াই মনে করাচ্ছে ১৬-র বিধানসভা নির্বাচন।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল ভালো ফল করলেও তাদের বেগ পেতে হয়েছিল বাম কংগ্রেস জোটের সামনে। তবে এখন উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে। সমগ্র উত্তরবঙ্গেই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। যা হাড়ে হাড়ে টের দিয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনে। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে উত্তরবঙ্গের ১১টি বিধানসভা আসন বাদে বাকি ৪৩টি বিধানসভা আসনেই তৃণমূলের থেকে শক্তিশালী বিজেপি।
আর এই জায়গায় বিজেপির উত্থান ঠেকাতে এবং নিজের দলীয় জমি ফিরে পেতে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একইভাবে বারংবার উত্তরবঙ্গ সফর করেছিলেন তিনি। যার নির্যাস হিসেবে বেরিয়ে এসেছিল ভালো ফলাফল। আর তাকেই এবারও কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল গোটা রাজ্যের যে সকল জায়গায় খারাপ ফলাফল করেছিল সব জায়গাতেই আলাদা করে জোর দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর ফর্মুলায় তাকে ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা যা রাজ্যের মানুষ দেখেছিল ২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।