তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন করেও মমতা ব্যানার্জির কুৎসা, বেরিয়ে যেতে বললেন অনুব্রত মণ্ডল

হিমাদ্রি মন্ডল : বীরভূমের সিউড়ি শহরে সোমবার জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে একটি সম্মেলন হয় একটি অনুষ্ঠান ভবনে। যে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও দলের অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আর এই সম্মেলন থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের বেশকিছু শিক্ষককে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল এবং তাদের সংগঠন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলতে দেখা গেল। কিন্তু কেন এবং কাদের সংগঠন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল?

সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কয়েকজন শিক্ষক ফেসবুকে কয়েকটা জিনিস এমন ছাড়েন! কি অন্যায় করেছি আমরা? মমতা ব্যানার্জি কোন অন্যায় করেছে শিক্ষকদের কাছে? কি ক্ষতি করেছি আমরা? ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট গোটা পশ্চিমবাংলাটাকে শেষ করে দিল। তারপরেও মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে বলছেন! আমি জানিনা আপনারা তার ভিতরে কেউ আছেন কিনা। শিক্ষক সংগঠন করবেন তৃণমূলের আর মমতা ব্যানার্জির নামে কুৎসা করবেন। দয়া করে এই সংগঠন থেকে বেরিয়ে যান। দল করতে হবে না। কুৎসা করবেন না।”

আর এরপরই তিনি বলেন, “যদি কোন অন্যায় থাকলে প্রতিবাদ করুন। আমাদের জানান আমরা ক্ষমা চেয়ে নেব। যদি কোন আমার কর্মী, যদি কোন আমার প্রধান, যদি কোন আমার কাউন্সিলর, কেউ যদি আপনাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এই ভোট আমার নয়, এই ভোট মিউনিসিপ্যালিটির নয়, এই ভোট পঞ্চায়েতের নয়, এই ভোট জেলা পরিষদের নয়, এই ভোট মমতা ব্যানার্জির ভোট। তাই মমতা ব্যানার্জির প্রতি রাগ করবেন না।”

অন্যদিকে এদিন এই শিক্ষক সম্মেলন চলাকালীন বারংবার লোডশেডিং হওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ পরিষেবার সাথে যুক্ত আধিকারিকদের ফোন মারফত জানান এইভাবে লোডশেডিং মানা যাবে না। এমনটা যেন না হয় তার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় তাকে।

প্রসঙ্গত আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই করোনা আবহেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক কর্মীসভা থেকে শিক্ষক সম্মেলন করে চলেছেন। আর বেশিরভাগ জায়গাতেই তাকে দেখা যাচ্ছে দুটি কথাই বলতে, একটি হলো একুশের ভোটে হবে আলাদা কৌশলে আর দ্বিতীয়টি হল, ভুল-ত্রুটি থাকলে যেন ক্ষমা করে মমতা ব্যানার্জিকে ভোটটা দিবেন।