করোনা রুখতে পথে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তর, নাকা চেকিং বর্ডার এলাকায়

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্বজুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO মহামারী বলে ঘোষণা করেছে এই ভাইরাস সংক্রমণকে। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০০০-এর বেশি, একদিনে (গতকাল) বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক ২৫০ ছাড়িয়েছে। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি ভারতও। ভারতের ইতিমধ্যে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১০০ ছুঁই ছুঁই। ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২।

যদিও এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার WHO বেশকিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। দেশকে রক্ষা করতে ভারত সরকারের তরফ থেকে এবং ভারতের প্রতিটি রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের জন্য। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাণিজ্যিক ভবন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বীরভূমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত। এর পাশাপাশি শনিবার বীরভূম জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফ থেকে যৌথভাবে শুরু হলো নাকা চেকিং। মূলত বর্ডার এলাকায় এই নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকেই বীরভূমের মহঃবাজার এলাকার মোহেষ খালা ছাগলকুড়ি বর্ডার, শ্রীকান্তপুর ও ডানজোনা রাস্তায় মহঃবাজার পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে নাকা চেকিং চলছে। সিউড়ি থানার উদ্যোগে নাকা চেকিং চলছে ঝাড়খন্ড বর্ডারের কেন্দুলি গ্রামের চেকপোষ্টে। বীরভূমে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস নিয়ে কিছুটা হলেও আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গতকাল সৌদি ফেরত এক যুবককে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত বলে সন্দেহ করার পর থেকেই। যে যুবককে ইতিমধ্যেই রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের আশ্বাস, “ওই যুবককে কেবলমাত্র করোনা ভাইরাস সংক্রমিত বলে সন্দেহ করা হয়েছে। তার সমস্ত রকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে সমস্ত রকম বন্দোবস্ত আগে থেকেই করা আছে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য।”

এদিন নাকা চেকিং চলাকালীন ঐ সমস্ত এলাকায় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বাস ও অন্যান্য যানবাহনে থাকা যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য তাদের সামনে তুলে ধরা হয়। যাত্রীদের থেকে জানা হয় কেউ সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন কিনা। বা কেউ জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন কিনা। আর যদি এমন কেউ থাকেন সেই সকল মানুষদের নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি চেকিং পোষ্টেই করা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির।