অমরনাথ দত্ত : “আজি হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি, কৌতূহলভরে” – আজ ২২ শে শ্রাবণ। আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮ তম প্রয়াণ দিবস। আজকের দিনে ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে তিনি জোড়াসাঁকো থেকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁর সবথেকে আপন শান্তিনিকেতনকে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে, বাংলার ২৫ শে বৈশাখ (১২৬৮) তিনি জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। মাত্র আট বছর বয়স থেকে তাঁর কবিতা লেখা শুরু। অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি সমসাময়িক বিশ্বে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তিনি শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ব্রহ্মচর্য আশ্রম। তারপর থেকেই শুরু শান্তিনিকেতনে পাকাপাকি বসবাস। এরপর গ্রামোন্নয়নের জন্য শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠা ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্বভারতী’র প্রতিষ্ঠা।
আজ কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে স্মৃতিচারণায় বিশ্বভারতীতে ভোর পাঁচটায় বৈতালিকের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। তারপর সকাল সাতটায় উপাসনা গৃহের শুরু হয় বৈদিক মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে উপাসনা। সঙ্গী ভবনের পড়ুয়ারা তাদের গানের মধ্যে দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কবিগুরুর। কবিগুরুর স্মৃতিচারণায় বৈকাল ৪ ঘটিকায় রয়েছে বৃক্ষরোপণ ও সন্ধ্যা সাতটায় লিপিকা গৃহে স্মরণ।