নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠকে কাউন্সিলর এবং কর্মীদের কাটমানি নেওয়া নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি সুর চড়িয়ে জানিয়ে ছিলেন, ‘কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে তবে তা ফেরত দিয়ে দিন, নাহলে কিন্তু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আর এরপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাটমানি ফেরতের দাবিতে ঘেরাও ও অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে থাকেন দলীয় কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন দলের কর্মীরা। জায়গায় জায়গায় কাটমানি ফেরতের দাবিতে বচসার জেরে দলীয় কর্মীদের বক্তব্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির আরো চাপ বাড়ে। অবশেষে পরিস্থিতি বাগে আনতে কাটমানি নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজ্য সরকার সরাসরি টোল ফ্রি নাম্বারের বন্দোবস্ত করলেন।
জানা গিয়েছে, “যে কেউ তাঁর অভিযোগ এখানে নির্ভয়ে জানাতে পারবেন। নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনও এলাকায় কোনও পুর প্রতিনিধি যদি এলাকার কাজে কোনরকম কমিশন ও কাটমানি খেয়ে কাজ করেন বা কাজ করে দিয়েছেন, এইরকম খবর থাকে, তবে টোল ফ্রি নম্বর (১৮০০৩৪৫৮২৪৪), ই-মেল (WBCMRO@GMAIL.COM) এবং এসএমএসে (৯০৭৩৩০০৫২৪)-এ জানান। যিনি অভিযোগ করবেন তার পরিচয় গোপন থাকবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “সমব্যাথী প্রকল্পের দুই হাজার টাকার মধ্যে দুশ টাকা করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পেও কুড়ি শতাংশ টাকা করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মনে রাখবেন আমি এসব সহ্য করব না। এই ছোট্ট করত গরীব মানুষদের স্বার্থে। কেউ টাকা নিয়ে থাকলে ফেরত দিয়ে দিন।”
পরে এই কাটমানি প্রসঙ্গে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের মন্তব্যে বিতর্কের সূত্রপাত। তারপর আবার সদ্য ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে আরও জলঘোলা হয় কাটমানি প্রসঙ্গ।