বিসর্জনের সময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বাগডোলার কালি মাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার ঠিক দু’দিন আগে বাগডোলার কালি মাকে বিসর্জন দেওয়া হয় মন্দিরের পিছনের কালীগােরেতে। আর সে সময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় মহম্মদ বাজার থানার অন্তর্গত বাগডোলা গ্রামের কালী মাকে। যাতে করে মায়ের দারু মূর্তি কোথাও পালিয়ে না যায়। বংশপরম্পরায় এই রীতি দীর্ঘদিনের।

মন্দিরের পুরোহিতের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বিসর্জনের পরদিন আবার ওই পুকুর থেকে মায়ের দারু মূর্তি তুলে নিয়ে আসা হয়, রাখা হয় মন্দিরের পাশের ঘরে। মূর্তি শুকিয়ে গেলে কালীপুজোর দিন নতুন করে অঙ্গরাগ করে প্রতিষ্ঠা করা হয় মূল মন্দিরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালু বাগদী নামে এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজো প্রথম শুরু করেন। মণিকর্ণিকার কাঁদরের জলে যে নিমের কাঠ ভেসে আসে, সেই কাঠ দিয়ে গলা থেকে কালীর মুখের আদলে মূর্তির রূপ দেওয়া হয়। কৃষ্ণবর্ণা, রক্তজিহ্বা এই কালীর কোনো হাত নেই। গলা থেকে কালীর মুখের আদলে দারু মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আজ থেকে প্রায় তিনশ বছর আগে।

শাক্ত মতে এই কালী মায়ের পুজো হয়ে থাকে। পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন পালা করে ১২ জন দেবাংশী। মূল মন্দিরের পেছনেই রয়েছে পীর সাহেবের আস্তানা। এছাড়াও রয়েছে সন্ন্যাসী গোঁসাই ও দেবাংশী উপেন্দ্রনাথের আস্তানা।

কালি চতুর্ভূজা হলেও এখানকার এই কালীমূর্তিতে কেন হাত নেই, কেন গলা থেকে মুখমণ্ডল পর্যন্ত পূজিত হয় তা নিয়ে অবশ্য দেবাংশিরা সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। তারা জানান, বংশপরম্পরায় এই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে।