কি কারণে ঘটলো এই ট্রেন দুর্ঘটনা, উঠে আসছে যে সকল সম্ভাব্য কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরে ভারতের রেল পরিষেবাকে উন্নত থেকে উন্নততর করে তোলার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় রেল। সিগন্যালিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবদিকেই বিভিন্ন উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি গত কয়েক বছরে রেল দুর্ঘটনার মত নজিরও নেই দেশে। রেল দুর্ঘটনা এড়িয়ে যখন দেশ ইতিহাস তৈরি করছে সেই সময়ে হঠাৎ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ির দোমহনি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস।

ময়নাগুড়ির এই রেল দুর্ঘটনায় ট্রেনের কামরাগুলি খেলনা গাড়ির মতো একে অপরের উপর চেপে যায়। রেল সূত্রে এই দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আহত শতাধিক মানুষ। আহতের সংখ্যা দিকে তাকিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমনও অনুমান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।

দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য থেকে বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সজোরে ব্রেক কষতেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। তারপরেই একাধিক কামরা এলোমেলো হয়ে একে অপরের উপর চেপে যায়। কিন্তু সজোরে ব্রেক কষার কারণ কি হতে পারে? এর পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে একাধিক সম্ভাব্য কারণ।

সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে আসছে রেললাইনে ফাটলে প্রসঙ্গ। এছাড়াও উঠে আসছে ট্রেনের গতিবেগের প্রসঙ্গ। মনে করা হচ্ছে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল ট্রেনের গতি। গতি বেশি থাকার ফলে হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে যা মনে করা হচ্ছে তা হল সিগনালিং সমস্যা। এছাড়াও চালকের কোন ভুলত্রুটিকেও সম্ভাব্য কারণ থেকে দূরে সরানো যাচ্ছে না।

পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু এই ট্রেন দুর্ঘটনাটি দিনের আলোয় ঘটেছে তাই কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এমনটা বলা যাবে না। তবে এই রেল দুর্ঘটনার পিছনে কি কারণ রয়েছে তা উঠে আসবে রেলের তদন্তের পর এই বলে মনে করা হচ্ছে।