লম্বা লাইন, ওয়েটিং লিস্ট ভুলে যান, আসছে নতুন ব্যবস্থা! বড় ঘোষণা রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার কেন্দ্রে বসার পর প্রথম থেকেই ঘোষণা করেছিলেন রেল যাত্রা স্বাচ্ছন্দ আনার কথা। ২০১৯ সালে পুনরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নিজেদের সরকার ধরে রাখার পর রেল পরিষেবার সেই স্বচ্ছন্দ আনতে তোড়জোড় পড়ে যায়। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে এ বছরই একের পর এক ঘোষণা হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে, বহু ক্ষেত্রেই বদলে ফেলা হয়েছে পুরাতন পরিকাঠামো। বলাই বাহুল্য দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল।

আর সেই দুরন্ত গতির নতুন ঘোষণাতে সাধারণ রেল যাত্রীরা পেতে চলেছেন এক বিশেষ পরিষেবা। এই বিশেষ পরিষেবার মাধ্যমে আর রেল যাত্রীদের টিকিট কেটে ওয়েটিং লিস্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। ভারতীয় রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে চালানো হবে ট্রেন। আর এই পরিষেবা আগামী চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

রেল আধিকারিক সূত্রে এও জানা গিয়েছে, এই সমস্ত প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি ২০২১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হবে। এমনকি মালগাড়ির ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে যাত্রীদের চাহিদামত ট্রেন চালানো হবে দিল্লি মুম্বাই এবং হাওড়া দিল্লির রুটে।

এছাড়াও আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৬০০০ কিলোমিটার রেললাইন বিস্তৃতির কাজও সম্পন্ন হয়ে যাবে। নতুন রেললাইন নির্মাণের ফলে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে ট্রেন, পাশাপাশি দেশজুড়ে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

শুধু এখানেই শেষ নয়, রেল যাত্রায় ভারতীয় রেলের রয়েছে আরো বড় পদক্ষেপ। আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের সমস্ত ট্রেন চলবে নিঃশব্দে। যার ফলে কমবে দূষণের পরিমাণ, পাশাপাশি খরচও। প্রতিটি ট্রেনেই ব্যবহার করা হবে আধুনিক প্রযুক্তি। এতদিন পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনে ‘পাওয়ার কার’ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। যার ফলে উঠতো বিকট আওয়াজ। আর এবার রেলমন্ত্রক এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহার করছে আধুনিক প্রযুক্তি। যে প্রযুক্তির ফলে ‘পাওয়ার কার’ এর পরিবর্তে সরাসরি ওভারহেড থেকে সরবরাহ করা হবে বিদ্যুৎ। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ট্রেনে বাড়বে কামরার সংখ্যাও। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে রেলের।