রাজ্যে চালু হতে চলেছে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, মিলবে দারুণ সব সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পথ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মোটর ভেহিকেল আইন আনা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। নতুন নতুন সেই নিয়মে নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়ার পাশাপাশি চালক এবং গাড়ির মালিকদের একাধিক সুবিধা প্রদানের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। আর সেই মোতাবেক নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে। একইভাবে এবার পশ্চিমবঙ্গে চালু হতে চলেছে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

এই ড্রাইভিং লাইসেন্স আসলে হলো স্মার্ট কার্ড। এখন যেমন গাড়ি নিয়ে বের হলে রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সবই রাখতে হয় তার প্রয়োজন হবে না। এটিএম কার্ডের মত ওই স্মার্ট কার্ড থাকলেই হবে। এটিএম কার্ডের মত মানিব্যাগে ভোরে যে কোন জায়গায় এই কার্ড নিয়ে যাওয়া যাবে খুব সহজে। এই কার্ড থাকলেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অনায়াসে গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।

রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে নতুন এই যে স্মার্ট কার্ড চালু করা হচ্ছে সেই স্মার্ট কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে আর দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোন পারমিট নিতে হবে না। এমনকি কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও এই স্মার্ট কার্ড দেখালেই ট্রাফিক পুলিশ অথবা ভেহিকেল দপ্তর কোনরকম হেনস্তা করবে না।

এই নতুন যে স্মার্ট কার্ড চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা মূলত কেন্দ্র সরকারের ‘ওয়ান কার্ড ওয়ান নেশন’ নীতির অংশ। কেন্দ্রের পথে হেঁটেই নবান্নের তরফ থেকে রাজ্যে এই স্মার্ট কার্ড চালু করা হচ্ছে। পরিবহন দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, পুরাতন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের পরিবর্তে সবার হাতে এই স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে।

এই স্মার্টকার্ডে থাকবে মাইক্রোচিপ এবং qr কোড। স্মার্ট কার্ড থেকে নিমেষে জানা যাবে চালকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, কোথা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে, গাড়ির চেসিস নম্বর, চালকের রক্তের গ্রুপ, এমনকী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মৃত্যুর পর দেহদানের অঙ্গীকার করা আছে কি না। এছাড়াও জানা যাবে চালক অতীতে ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছেন কি না। দেশের সব জায়গায় এই স্মার্ট কার্ডের গুরুত্ব এক।