অনুব্রত মণ্ডলের সামনে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই চরম বিশৃঙ্খলা

চন্দন কর্মকার : সাঁইথিয়ায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কর্মীসভা চলাকালীন চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায় কর্মীদের মধ্যে। মূলত এক বুথ সভাপতি এলাকার ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে সভা মঞ্চ থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর তার পরেই এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় সাঁইথিয়া এলাকার তৃণমূল নেতাদের।

সাঁইথিয়া হাইস্কুল মাঠে বুধবার হাতোরা, মাঠপলসা, বনগ্রাম অঞ্চল নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভা ছিল। আর এই কর্মীসভায় চলাকালীন বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪২ নম্বর বুথ অর্থাৎ মারকোলা গ্রামের বুথ সভাপতি শান্ত মন্ডল ভোটে হারার কারণ হিসাবে দায়ী করেন সাঁইথিয়া ব্লকের ব্লক সভাপতি সাবের আলী খানকে। তবে তিনি আরও কিছু বলতে যাওয়ার আগেই তাঁকে সাবের আলী খানের অনুগামীরা হট্টগোল করে সভা থেকে বের করে দেওয়া দেয়। এর পরেই শুরু হয় বিশৃংখলা।

বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তুষার মন্ডল শান্ত মন্ডলকে সভা থেকে বের করে দেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তিনি সভামঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতা নেত্রী এবং অন্যান্যদের প্রশ্ন করতে শুরু করেন কেন তাকে সভা থেকে বের করে দেওয়া হল। যার পরেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক হই হট্টগোল এবং বচসা শুরু হয়। তবে এই হট্টগোল এবং বচসার মধ্যেও সভা শেষ করেই মঞ্চ ত্যাগ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

ঘটনার সূত্রপাত, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যখন ওই সভাপতি শান্ত মন্ডলকে জিজ্ঞেস করেন, ‘১৬৪ ভোটে হেরে আছেন? কেন হারলেন?’ আর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই ওই বুথ সভাপতি ভোটে হারার কারণ হিসেবে ব্লক সভাপতি সাবের আলী খানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যখনই অনুব্রত মণ্ডল তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘কেন মাইক ধরে সকলের সামনে বললেন? লিখিত দিতে পারলেন না।’

আর এদিনের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে সাঁইথিয়া ব্লকের ব্লক সভাপতি সাবের আলী খান দাবি করেন, “কোথাও কোনো রকম হই হট্টগোল হয়নি। হাতের পাঁচটা আঙ্গুল আলাদা হাওয়াই অভাব-অভিযোগ থাকতে পারে। আমরা সেই সকল অভাব অভিযোগ জেলা সভাপতির নেতৃত্বে মিটিয়ে নেবো।”