ভোটের আগে ফের ধাক্কা তৃণমূলে, দীনেশ ত্রিবেদীর সাংসদ পদ ছাড়া ঘিরে জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং নির্ভরযোগ্য সৈনিক হিসাবে পরিচিত দীনেশ ত্রিবেদী। কিন্তু ভোটের আগেই তিনিও ধাক্কা দিলে তৃণমূলকে। শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ ধরে শুক্রবার আকস্মিকভাবে ইস্তফা তিনিও দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে। কিন্তু কেন!

রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, “দলে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। দম বন্ধ হয়ে আসছে। অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” আর এইভাবে রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্য পেশ করে দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এইভাবে ইস্তফা দেওয়ার বঙ্গ রাজনীতিতে চরম জল্পনার সৃষ্টি করলো। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্ভরযোগ্য সৈনিকও কি এবার বিজেপির পথে?

তবে দীনেশ ত্রিবেদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এবং নির্ভরযোগ্য সৈনিক হলেও তৃণমূলের সাথে তার দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসলে রেলমন্ত্রীর জায়গায় তৃণমূল দীনেশ ত্রিবেদীকে পাঠায়। সেসময় বাজেটে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি দলনেত্রীর বিরাগভাজন হন। রাতারাতি তাকে সরিয়ে দিয়ে রেলমন্ত্রী করা হয় মুকুল রায়কে। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দীনেশ ত্রিবেদী একদিন আগেই নরেন্দ্র মোদির একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। অন্যদিকে আবার শুক্রবার রাজ্য সভায় বক্তব্য রাখার সময়ও দেশে করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে দেখা যায়। অন্যদিকে আবার দীনেশ ত্রিবেদী তার নিজের সিদ্ধান্তের কথা এখনো না জানালেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাকে দলের স্বাগত জানিয়েছেন। আর এসবের পরেই বঙ্গ রাজনীতিতে ভোটের আগে ফের একবার নতুন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো।