Tropical Cyclone Mocha: মোকাতেই শেষ নয়, আসছে তেজ থেকে হামুন! অপেক্ষায় একের পর এক ঘূর্ণিঝড়

Everything about Tropical Cyclone Mocha: এপার বাংলা তথা ওপার বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন একটাই প্রশ্ন – মোকা (Tropical Cyclone Mocha) কোথায়? সত্যি এপ্রিলের সেই শেষ সপ্তাহ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে ‘মোচা’ (Mocha) নামে একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। পরে আবার ‘মোচা’ নামটি পাল্টে নতুন নাম হলো ‘মোকা’ (Mokha)। কিন্তু কবে পাবো এই মোকার দেখা? প্রথম ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ৮ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে আসতে পারে এই মোকা। তবে এখনো পর্যন্ত এর কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। পরে অবশ্য জানা গিয়েছে যে, ১২ তারিখ পর্যন্ত মোকার কোন প্রভাব পড়বে না বঙ্গে। তবে মোকা নিয়ে সতর্ক দুই বাংলাই।

মোকার (Tropical Cyclone Mocha) প্রভাব না করলেও নাম নিয়ে কিন্তু বেশ মাতামাতি হয়েছিল। এইবার ঘূর্ণিঝড় মোকার নামকরণ করেছে ইয়েমেন। তাদের এইরূপ নামকরণের প্রধান কারণ হলো ইয়েমেনের বন্দরের নাম মোখা। তো সেই সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হয়েছে মোকা (Tropical Cyclone Mocha)। তবে মোকা এখন অব্দি এসে না পৌঁছালেও, সরকার থেকে কিন্তু সতর্কতা জারি রয়েছে। তার কারণ এর আগে আমফান ও ইয়াস বহু মানুষের চূড়ান্ত ক্ষতি করে গিয়েছিল। যা সামলাতে নাজেহাল হয়েছিল স্বয়ং সরকারও।

স্বভাবত ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আমরা জানি তীব্র ঝড়-বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ যে উল্টো পুরাণ। মোকার (Tropical Cyclone Mocha) প্রভাবে বৃষ্টি তো দূর বরং সূর্যদেব যেন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। যার ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে এবং আবহাওয়া দপ্তর থেকে তাপপ্রবাহের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ থাকবে মায়ানমার ও বাংলাদেশের দিকে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবার বোধহয় ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বেঁচে যাবে। যেহেতু দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে নিম্নচাপ। এর ফলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুর গতিবেগ বঙ্গোপসাগরের দিকেই। এর ফলে শুক্রবারও তাপপ্রবাহ চলে।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়গুলি সৃষ্টি হয়, সেগুলির নামকরণ হেতু দরকার মোট ১৩টি দেশের অনুমোদন। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি সব একসাথে হয়ে তবে একটি নাম ঠিক করা হয়। সর্বপ্রথম একটি নামের তালিকা প্রস্তুত করে ‘প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন’-এর কাছে উপস্থাপিত করা হয়। এরপর সেই নির্দিষ্ট তালিকা থেকেই চূড়ান্ত নামটি নির্বাচন করা হয়।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এরপর যে ঘূর্ণিঝড়টি সংষ্টি হবে, তার নামকরণের দায়িত্ব থাকবে আপাতত বাংলাদেশের ওপর। নাম হতে পারে ‘বিপর্যয়’। পরের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের দায়িত্ব ভারতের। যার নাম সম্ভবত হতে পারে ‘তেজ’। ভারতের পর যে দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে সেগুলি হল যথাক্রমে ইরান হামুন, মালদ্বীপ (ঘূর্ণিঝড় মিধালি), মায়ানমারের (ঘূর্ণিঝড় মিচাউঙ্গ), ওমানের (ঘূর্ণিঝড় রিমাল), পাকিস্তানের (ঘূর্ণিঝড় আসন, কাতারের (ঘূর্ণিঝড় ডানা), সৌদি আরবের (ঘূর্ণিঝড় ফিনগাল)।