Wi-Fi Router: সারারাত ধরে চলছে Wi-Fi রাউটার! অজান্তেই ঘনিয়ে আসছে বিপদ

Turn off Wi-Fi at night to avoid dangerous threats: দিনের পর দিন উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবযাত্রার গতিপ্রকৃতি। বদলে যাচ্ছে যুগের আবহাওয়া। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, প্রযুক্তির আশীর্বাদে আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে মানুষের কাজকর্ম। পূর্বে মানুষকে সরকারি দপ্তরের কোনো কাজ মেটাতে হলে তা কাজ কামাই করে সংশ্লিষ্ট অফিসের দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মেটাতে হতো। তবে বর্তমানে ইন্টারনেটের দৌলতে তা অতি সহজেই অনলাইনে ঘরে বসে করা যাচ্ছে। আর মানুষের ঘরের ভিতরে ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করে তোলার পিছনে ওয়াই ফাই রাউটারের (Wi-Fi Router) বড় অবদান রয়েছে।

আসলে আজকের দিনে দাড়িয়ে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ইন্টারনেট ছাড়া বর্তমান পৃথিবী প্রায় অচল। দ্রুত গতির ইন্টারনেট পেতে ওয়াই ফাই রাউটারের (Wi-Fi Router) জুড়ি মেলা ভার। কিছু দিন আগেও অফিস কাছারি গুলিতে ওয়াই ফাই রাউটার সর্বাধিক পরিমাণে দেখা গেলেও, মানুষ বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজের জন্যও বাড়িতে ওয়াই ফাই বসিয়ে নিচ্ছেন।

ওফাই রাউটার (Wi-Fi Router) গুলিতে বিভিন্ন প্ল্যানে রিচার্জ করা যায়। যা থেকে পাওয়া যায় উচ্চ গতির আনলিমিটেড ডাটা সহ কলিং এর সুবিধাও। ফলে নেট সার্ফিংয়ে ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি হচ্ছে না। যার কারণে বেশিরভাগ গ্রাহকই দিনরাত চালু করে রাখছেন ওয়াই ফাই রাউটারটিকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রাত্রিবেলা এই ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করেই ঘুমোতে যাওয়া উচিত। তা না হলে সামান্য এই ভুলে ব্যক্তিগত জীবনে ঘটতে পারে বড় বিপদ।

Wi-Fi-কে WLAN-ও বলা হয়ে থাকে। আসলে এটি একটি বেতার তরঙ্গের নেটওয়ার্ক। ওয়াই ফাই রাউটারে (Wi-Fi Router) এক বা একাধিক অ্যান্টেনা লাগানো থাকে যার সাহায্যে ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত থাকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ফোনের মতো ওয়্যারলেস ডিভাইসগুলি সাথে। ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক-এ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি (EMFs) ব্যবহার করে।

ঠিক কি বিপদ ডেকে আনতে পারে এই ওয়াইফাই রাউটার (Wi-Fi Router)? স্লিপ সায়েন্স কোচ ও স্লিপ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইসাবেলা গর্ডন এই বিষয়ে বলেছেন, রাতে ওয়াই ফাই রাউটার টিকে বন্ধ করে ঘুমাতে যাওয়া উচিত, এর ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়। রাতে ঘুম কম হলে মস্তিষ্কে নরপাইনফ্রিনের হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটি অ্যালঝাইমার্স রোগের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি রাউটার হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম থাকে। ছাড়াও দীর্ঘ সময় ওয়াইফাই-এর সংস্পর্শে থাকলে মানুষের কোনো বিষয় শেখার ক্ষমতা হ্রাস পায়।