যমজ অ্যান্টিবডির সন্ধান, কুপোকাত হবে করোনা আশা বিজ্ঞানীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকে কুপোকাত করার জন্য বিজ্ঞানীরা উঠে পড়ে লেগেছেন। এই একটি ভাইরাস সকলের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অসহায় অবস্থায় মানুষ দিন কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় এবার চিনের বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখালেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর যে সকল মানুষরা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করে বহুদিন ধরেই অ্যান্টিবডি খুঁজছিলেন চাইনিজ একটি সংস্থা। তারা তাদের সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। করোনাভাইরাসের যমজ অ্যান্টিবডি তারা খুঁজে পেয়েছেন। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের সংস্থার গবেষকরা বলেছেন, দুটি অ্যান্টিবডিকে চিহ্নিত করা গেছে যারা সার্স-কভ-২ ভাইরাল প্রোটিনকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম। এই যমজ অ্যান্টিবডির নাম হলো বি-৩৮ ও এইচ-৪।

এই যমজ অ্যান্টিবডি কী উপায়ে কাজ করবে?

গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, RNA ভাইরাসের স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনের সঙ্গে জুড়ে যেতে পারে এই দুই অ্যান্টিবডি। অনেকখানি ক্যাপের মতো দেখতে এই স্পাইক প্রোটিনের উপর আবরণ তৈরি করে। এই আবরণ তৈরির ফলে ভাইরাল প্রোটিন আর দেহকোষে তাদের সেই ‘বন্ধু’ প্রোটিন ACE-2 রিসেপটরের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে না। এরফলে ভাইরাসের প্রোটিন ও দেহকোষের বাহক প্রোটিনের সংযোগটা আগেই ভেঙে দেবে এই দুই অ্যান্টিবডি।

ল্যাবরেটরির ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেছে তারপরেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন গবেষকরা।

এ ছাড়া জোড়া এই অ্যান্টিবডি সার্স-কভ-২ ভাইরাসের প্রোটিনগুলিকেও নিষ্ক্রিয় করে দেবে। এর ফলে ভাইরাস শরীরে ঢোকার আর কোন রাস্তায় খুঁজে পাবেনা।

IIBR-এর গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোভিড সংক্রমিতরা সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি পাওয়া যাচ্ছে সেই অ্যান্টিবডিকেই কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

IIBR আরও জানিয়েছে, সংক্রামিত মানুষের শরীরে যে ভাইরাল প্রোটিন ছড়িয়ে পড়ে সেই ভাইরাল প্রোটিনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে এই যমজ অ্যান্টিবডি। তবে এই অ্যান্টিবডি এখনও গবেষণার স্তরেই রয়েছে। গবেষণাতে আরও সফলতা এলে এটিকে বাজারে ছাড়া হবে।