সিউড়ি হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাসে মৃত ২, কি কি উপসর্গ, বাঁচার উপায় কি

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ক্রাব টাইফাসের হানা এবার বীরভূমে। মাত্র সাত দিনের মধ্যে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মৃত দুইজনের বাড়ি সিউড়ি এলাকায় নয়।

মৃত দুজনের মধ্যে একজন হলেন খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলার রসা গ্রামের। তার নাম বিকাশ বাউরী এবং তার বয়স ৩৭ বছর। অন্যদিকে দ্বিতীয় যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার বাড়ি হল ঝাড়খন্ড। তারও এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তবে দুজনেরই অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছিল বলে জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে।

কাঁকরতলার রসা গ্রামের বিকাশ বাউরির খিচুনি রোগ ছিল বলে জানা যাচ্ছে এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দার কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। তবে চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের হাসপাতালে আনার ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয় এবং রোগ অনেক পরে ধরা পড়ে। সঠিক সময়ে তাদের হাসপাতালে আনা হলে তাদের প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম ছিল।

ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের প্রকার কামড় থেকে এই স্ক্রাব টাইফাস রোগের জন্ম। বর্ষাকালে বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এই ধরনের পোকা দেখা যায় এবং তারা অনেক সময় মানুষকে কামড় দেয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার পোষ্যদের শরীরেও এই ধরনের পোকা দেখা যায়। এই প্রকার কামড়ে কোনরকম জ্বালা যন্ত্রণা অথবা ব্যথা না হওয়ার কারণে বহু ক্ষেত্রেই তা বুঝতে দেরি হয়।

শরীর দুর্বল অথবা রক্তচাপ কমে যাওয়া প্রচণ্ড জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, গা-হাত-পা ব্যাথা কিংবা গায়ে র‍্যাশ, এমন বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে স্ক্রাব টাইফাস হলে। এই জ্বর এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবডি রয়েছে তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক সময়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে প্রাণহানি এবং অঙ্গহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে।

এই ধরনের প্রকার কামড় থেকে যাতে দূরে থাকা যায় তার জন্য নিজেদের বসবাসের এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়াও নজরে রাখতে হবে আশেপাশে কোথাও এই ধরনের পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা। পাশাপাশি উপরিউক্ত উপসর্গগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজন পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কোনভাবেই বিষয়টিকে সামান্য ভেবে অবহেলা করা যাবে না।