মাওবাদী যোগ সন্দেহে বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় মাওবাদীদের প্রভাব নতুন করে বাড়ছে৷ সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বীরভূমের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকাগুলিও। ইতিমধ্যে এই সকল এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এমনকি রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বৈঠক করেছেন এই সব জেলার পুলিশ সুপার ও অন্যান্য অফিসারদের সঙ্গে৷ এই পরিস্থিতিতেই মাওবাদী যোগ সন্দেহে বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার হলেন দুজন।

মাওবাদী যোগ সন্দেহে বীরভূমের বোলপুর এবং শান্তিনিকেতন এলাকা থেকে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া পুলিশ। বাঁকুড়া পুলিশের তরফ থেকে বীরভূম জেলা পুলিশকে এই বিষয়ে ইনফর্ম করা হয় এবং যৌথ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকদের থেকে মাওবাদী পোস্টার সহ বিভিন্ন নথি উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের মধ্যে একজন টিপু সুলতান এবং আরেকজন অর্কদ্বীপ গোস্বামী। টিপু সুলতান শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীর বাসিন্দা। অন্যদিকে অর্কদ্বীপ গোস্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে বোলপুরের সুকান্তপল্লীতে ভাড়া থাকতেন। টিপু সুলতান বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া। অন্যদিকে অর্কদ্বীপ গোস্বামী বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া। একই দিনে দুজনকে জেলা থেকে এইভাবে গ্রেপ্তার করার পরিপ্রেক্ষিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

তবে টিপু সুলতান মাওবাদী যোগ থাকার সন্দেহে এই প্রথম গ্রেপ্তার হলেন এমনটা নয়। এর আগেও তিনি দুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রথমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৯ সালে। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আবার ২০২১ সালে ঝাড়গ্রাম পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে একই ধরনের অভিযোগে। সেই ঘটনায় জামিন পাওয়ার পর ফের রবিবার বাঁকুড়া পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বাঁকুড়া নিয়ে যায়।

তবে অর্কদ্বীপ গোস্বামী এর আগে এমন কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কিনা তা জানা যায়নি। পাশাপাশি তার এলাকায় ভালো পরিচিতি রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেখানকার বাসিন্দারা এবং বাড়ির মালিক কোনদিন তার কোন রকম কার্যকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ করেন নি। অর্কদ্বীপ গোস্বামী নিজে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পড়ুয়া হওয়ার পাশাপাশি তার স্ত্রী একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। যে কারণে পরিচয় পত্র দেখে বাড়ির মালিক তাদের ভাড়া দিতে কোনোরকম সংশয় প্রকাশ করেননি। তবে এই ঘটনার পর তাদের দ্রুত বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বাড়ির মালিক।