নিজস্ব প্রতিবেদন : এযেন বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত। হ্যাঁ, বিপুল জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা TikTok সহ একাধিক জনপ্রিয় চিনা অ্যাপকে প্রথম ভারত সরকার ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারায় ৫৯টি অ্যাপকে জুন মাসের ২৯ তারিখ ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে এই পদক্ষেপ নেয়। আর ভারতের এই পদক্ষেপের পর এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বের আরও দুটি দেশ।
সোমবার আমেরিকার স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে দিলেন, TikTok সহ চীনের একাধিক অ্যাপ আমেরিকায় নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, “রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এখনই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি না, তবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আমাদের বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।”
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা বেশ কিছুদিন ধরেই মার্কিন মুলুকের TikTok ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির মাধ্যমে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতি করছে চীন বলে অভিযোগ উঠছে। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের কথা অনুযায়ী, চিনে যা আইন রয়েছে তা মোতাবেক প্রতিটি ব্যবসায়িক সংস্থাকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কথা মেনে চলতে হবে। এমনকি দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে হবে। ফলো মার্কিন মুলুকের TikTok ব্যবহারকারীদের তথ্য বেজিংয়ের হাতে পৌঁছালে জাতীয় নিরাপত্তা পক্ষে ক্ষতিকর।
US Secretary of State Mike Pompeo says that the United States is "certainly looking at" banning Chinese social media apps, including #TikTok: Reuters
(file pic) pic.twitter.com/fUzJKlQkSk— ANI (@ANI) July 7, 2020
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতেও এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বন্ধ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এমনিতেই ভারত সরকার ভারতে TikTok অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেই TikTok সংস্থা চীনের সাথে সম্পর্ক ছাড়তে পর্যন্ত প্রস্তুত। সুতরাং এমত অবস্থায় যদি আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো আরো দুটি দেশ ভারতের পথে হাঁটে তাহলে অর্থনৈতিকভাবে বিপুল ধাক্কা সইতে হবে চিনা সংস্থা TikTok ও চীনকে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।