নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই ২১ দিনব্যাপী গোটা ভারতবর্ষে লকডাউন জারি হয়েছে। করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত ও মৃতের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এই ভাইরাস রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই ভাইরাস নিয়ে এত যে শঙ্কা এর পিছনে মূল কারণ এটাই যে এই ভাইরাসের এখন অব্দি কোন প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি।
তাই মানুষ এই ভাইরাসের নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন, যদিও চিকিৎসা হলে এই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত মানুষ যে বেঁচে যায় তা আমরা অনেকবারই দেখেছি। কিছুদিন আগেও দেখলাম যে পশ্চিমবঙ্গের আমলার ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও অনেকেই। তবু সমস্ত বিষয়টি যেন আটকে ছিল ভাইরাসের প্রতিষেধকের কাছে গিয়ে। অবশেষে এতদিনে একটি সুখবর পাওয়া গেল।
হ্যাঁ, জানা গেছে যে করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন আমেরিকার গবেষকরা। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। সেখানকার গবেষকদের কথা অনুযায়ী, তারাই ভ্যাকসিনটি প্রথম ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন ও সেই পরীক্ষা সফলও হয়েছেন। হ্যাঁ, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে শক্তিশালী এন্টি বডি তৈরি হচ্ছে, যা করোনার জীবাণু সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। খুব শীঘ্রই মানুষের শরীরেও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা হবে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার গবেষকরা।
ই-বায়ো মেডিসিন (eBiomedicine) পেপারে এই রিসার্চ আর্টিকলটি প্রথম পাবলিশ হয়। The Lancet medical জার্নাল পর এটি জনসমক্ষে আনে। উল্লেখ্য ২০০৩ সালে সার্স ও ২০১৪ সালে মার্স ভাইরাসের প্রতিরোধী ভ্যাকসিনও এই পিটার্সবার্গের গবেষকরাই তৈরি করেছিলেন। পিট স্কুল অব মেডিসিনের সার্জারি বিভাগের গবেষক অধ্যাপক অ্যান্দ্রেয়া গ্যামবোট্টোর কথা অনুযায়ী “সার্স-কভ-২ ও মার্স ভাইরাসের সাথে এই ভাইরাসের অনেক মিল আছে। তাই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কীরকম হতে পারে তার একটা আন্দাজ করা হয়েছে।”
“Our ability to rapidly develop this vaccine was a result of scientists with expertise in diverse areas of research working together with a common goal.”
Read more about Dr. Louis Falo and his team’s work on a potential #COVID19 vaccine: https://t.co/UCNXpd4dDv pic.twitter.com/OlHrnxDXnR
— University of Pittsburgh (@PittTweet) April 2, 2020
এখন মানুষের উপর কবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে?
জানা গিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানুষের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। মানুষের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হলে আশা করা যায় ফল আশানুরূপ হবে। মানুষের মধ্যে এই যে সংখ্যায় যে ভয় তা দূর হবে ও আমরা আবারও একটি যুদ্ধকে জয় করতে পারব। ততদিন অব্দি সাবধানে থাকুন, ঘরে থাকুন, নিজেও ভালো থাকুন আর অপরকেও ভালো থাকতে দিন। আতঙ্ক ছড়াবেন না।গুজবে কান দেবেন না। লকডাউনকে মেনে চলুন।