গোলাপের গন্ধে মুহুমুহু, ট্রেনে শৌচালয়ের ধারণা বদলে দিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রেনের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করলেও ট্রেনের প্রতি রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। তিক্ত সেই সকল অভিজ্ঞতার মধ্যে হল নোংরা কামরা, দুর্গন্ধময় শৌচালয়, সময়ের অনেক পরে গন্তব্যে পৌঁছানো। এছাড়াও আরও বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের।

শুক্রবার ভারতের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন হলো আর সেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্র্যাকে নামল পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে এই ট্রেনটি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতে শুক্রবার যারা চড়েন তারা রীতিমতো অবাক হয়ে যান। তাদের এই এক্সপেরিয়েন্স তারা ভুলতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন।

নতুন এই ট্রেনের ক্ষেত্রে যে সকল বদল এসেছে সেই সকল বদলের মধ্যে সবচেয়ে বড় বদল যেন শৌচাগারে। শৌচাগারের বাইরে একটি আলো লাগানো আছে এবং ভিতরে যদি কেউ থাকেন তাহলে সেই আলো সংকেত দেবে। শৌচাগারে দেশি এবং পশ্চিমী দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। পশ্চিমী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রয়েছে শৌচাগারে কমোডের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে হ্যান্ড শাওয়ার, টয়লেট পেপার ইত্যাদি।

সোপ ডিস্পেন্সারও রাখা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শৌচালয়ে। এর পাশাপাশি আছে হ্যান্ড ড্রায়ারের মত সুবিধা। অন্যান্য ট্রেনের শৌচাগার থেকে যেমন দুর্গন্ধ বের হতে দেখা যায়, সেই ধারণা সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের শৌচাগার থেকে বের হচ্ছে গোলাপের গন্ধ।

এছাড়াও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হাতমুখ ধোয়ার জন্য যে বেশি রয়েছে তাও চিরাচরিত ট্রেনের বেসিনের থেকে একেবারে আলাদা। এই বেসিনগুলি ঝাঁ চকচকে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মোড়া।