অটোচালকের মেয়ে মিস ইন্ডিয়ায় তৃতীয়, আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজেকে সুন্দর করে দর্শকের সামনে উপস্থাপিত করতে সকলেই চান। আর সেই কারণেই প্রতিবছর সৌন্দর্যের নানা রকম অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০২০ এর প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন উত্তরপ্রদেশের মেয়ে মান্যা সিং। সৌন্দর্যের এই প্রতিযোগিতায় সে হয়তো প্রথম হতে পারেনি কিন্তু জীবনের প্রতিযোগিতায় সেই জয়ী।

আসলে সৌন্দর্যের এই প্রতিযোগিতায় মান্যার স্বীকৃতি অর্জন শুধুতো স্বপ্নপূরণের গল্প নয়, এ হলো এক অর্থের লড়াই। যে লড়াইয়ে সকল প্রতিকূলতাকে পায়ে ঠেলে মান্যা সুন্দরীর খেতাব অর্জন করতে পেরেছে।

রিকশাচালক বাবার মেয়ে মান্যা ছোট থেকেই আর্থিক দুরবস্থার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়ে উঠেছে। এক কামরার ছোট ঘরে মান্যা আর তার ছোট ভাই এর বেড়ে ওঠা। নুন আনতে পান্তা ফুরায় যেখানে সেই ঘরের মেয়ের সৌন্দর্যের খেতাব জিতে নেওয়ার স্বপ্ন অনেকের কাছেই অবাস্তব মনে হলেও মান্যা কিন্তু কখনোই হাল ছাড়েননি।

উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলের টপ হওয়ার পর কলেজে ভর্তি হন মান্যা। কিন্তু উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পথে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সঙ্গতি। তখন নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করতে শুরু করেন মান্যা। কলেজের পাশাপাশি সকালবেলায় লোকের বাড়িতে বাসন মাজা ও রাতে কল সেন্টারে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু এত সব কিছুর মধ্যেও নিজের স্বপ্নকে ভুলে যাননি তিনি। তাইতো মিস ইন্ডিয়ার প্রতিযোগিতাতে নাম দিয়েছিলেন এরপর সেখানে সেকেন্ড রানারআপ হন তিনি।

প্রতিযোগিতা জিতে ফিরে বাবার অটোয় চেপে মাকে নিয়ে নিজের কলেজে যান মান্যা, মাঝ রাস্তায় বাবা ও মাকে দাঁড় করিয়ে প্রণাম করেন তিনি। আবেগ সামলাতে না পেরে কাঁদতে শুরু করেন তার বাবা, এরপর নিজের মাথার মুকুট
খুলে মান্যা বাবা ও মায়ের মাথায় পরিয়ে দেন। এই পুরো দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিওটি দেখে এখন আবেগে ভাসছেন নেটিজেনরা।

[aaroporuntag]
উল্লেখ্য, সৌন্দর্যের এই প্রতিযোগিতায় নাম দেওয়ার পর থেকে ছোটখাটো মডেলিংয়ের কাজও পাচ্ছিলেন তিনি আর সেগুলিও সমানতালে করতে শুরু করেছিলেন মান্যা।