স্টেশনের ভবঘুরে থেকে বলিউডে পা! রানুর এই সাফল্যের পিছনে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদন : রানাঘাট স্টেশনের সেই ভবঘুরে রানু মন্ডল আজ বলিউডের প্লেব্যাকের ভূমিকায় রেখেছেন। তেলহীন কাঁচাপাকা এলোমেলো চুল ওয়ালা, গা ভর্তি ময়লা, ছাপা শাড়ি পরা রানু মন্ডলকে কেউ কোনোদিন ভাবতে পারিনি যে এই জায়গায় এসে পৌঁছবে। অনেকেই এই ঘটনাকে ভাগ্যচক্র, কেউ আবার প্রতিভা এমন নানান যুক্তি দিয়েছেন। তার এমন সফলতার পিছনে অবশ্যই রয়েছে তার কণ্ঠস্বর। কিন্তু সেই কণ্ঠস্বর এতদিন আবদ্ধ ছিল রানাঘাট স্টেশন এবং ওই স্টেশনে যাতায়াতকারী গুটিকয়েক রেল যাত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেই। আর তারপরেই আসে অতীন্দ্র, যেই কিনা ঐ কণ্ঠস্বরকে ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে। রানু মন্ডলকে রাতারাতি চিনে ফেলে নেটদুনিয়া।

অতীন্দ্র চক্রবর্তী, পেশায় একজন ইলেকট্রিক্স টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। থাকেন রানাঘাটেই। সন্ধ্যার পর প্রতিদিন রানাঘাট স্টেশনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা তার। একদিন এই ভাবেই আড্ডা দিতে দিতে রানু মন্ডলের কণ্ঠস্বর ভেসে আসে তার কানে। ভেসে আসা কণ্ঠস্বরে তিনি মুগ্ধ হয়ে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন সেই গান। তারপর সেই অখ্যাত শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুদের পরিচয় করাতে দু-একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেন। আপলোড করার সময় তিনিও হয়তো ভেবে উঠতে পারেননি যে পরবর্তীকালে এমনটাও হতে পারে।

অতীন্দ্রর আপলোড করা সেই ভিডিও নিমিষের মধ্যে চার লাখের বেশি মানুষ দেখে ফেলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শেয়ার হয় ৬০০০০ বেশি। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভবঘুরে ওই মহিলার কণ্ঠস্বর। তারপর এই সাফল্যের দরজা খুলে যায় রানু মন্ডলের সামনে।

আর অতীন্দ্র এমন কাজটি করে নেটিজনেদের কাছে বাহবাও পেয়েছেন। নেট দুনিয়ার নেটিজেনদের সাথে রানুকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যম এই অতীন্দ্র।