Tindhurey Tourist Spot: উত্তরবঙ্গের সেরা গন্তব্য বলতে দার্জিলিং বা সিকিমের নামই সবার আগে মাথায় আসে। কিন্তু শীতের ছুটিতে যদি চেনা পথ ছেড়ে এমন একটি জায়গায় যেতে চান, যেখানে প্রকৃতির ছোঁয়া আপনাকে একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ করবে, তাহলে তিনধুরে (Tindhurey Tourist Spot) হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। কালিম্পংয়ের কাছেই অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অফবিট অভিজ্ঞতার জন্য দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার নিসর্গ মায়া এবং নিরিবিলি পরিবেশ যেন এক অজানা স্বর্গের আবহ এনে দেয়, যা আপনাকে অন্যরকম অনুভূতি দেবে।
তিনধুরে আপনাকে দেবে নির্ভেজাল শান্তি আর পাহাড়ের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ। মাত্র ১৪০০ টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়ার এমন প্যাকেজ পাবেন, যা শুনলে আপনাকে চমকে দেবে। এখানে (Tindhurey Tourist Spot) থাকা হোমস্টেগুলোর জানালা দিয়ে দেখা মেলে অপূর্ব সবুজ চা বাগান আর পাহাড়ি ঝর্ণার দৃশ্য। সকালবেলায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গী হয়ে চায়ের কাপ হাতে বসে থাকা যেন স্বর্গের স্বাদ এনে দেয়।
আরো পড়ুন: দিঘা, মন্দারমণি এখন অতীত, নিরিবিলিতে সময় কাঁটানোর সেরা ঠিকানা এই সমুদ্র সৈকত
তিনধুরে শুধু নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, রোমাঞ্চকর কার্যকলাপের জন্যও বিখ্যাত। এখানে ট্রেকিং করতে পারবেন পাহাড়ি পথে, ঘন জঙ্গলে বন্যপ্রাণীদের দেখা পাওয়ার সুযোগ আছে। যারা স্থানীয় সংস্কৃতি আর গ্রামবাসীদের সরল জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হতে চান, তাদের জন্য এই গ্রাম বিশেষ অভিজ্ঞতা দেবে। কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে সামাবিয়ং টি গার্ডেন, লাভা মনাস্ট্রি, ছাঙ্গে ফলস, নকদারা আর গুম্বাদারা মনাস্ট্রি।
আরো পড়ুন: কম খরচায় ঘুরে আসুন ‘মিনি সুন্দরবন’ থেকে, শীতের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা
শীতের সময়, বিশেষ করে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত, তিনধুরে ভ্রমণের সেরা সময়। এই সময়ে পাহাড়ি হাওয়ার স্নিগ্ধতা আর রাতের বনফায়ার ভ্রমণকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলে। অর্গানিক খাবারের স্বাদ, মৃদু ঠান্ডা পরিবেশ এবং গ্রামবাসীদের আতিথেয়তা পুরো যাত্রার অভিজ্ঞতাকে অসাধারণ করে তোলে।
নিউ মাল জংশন থেকে মাত্র ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সহজেই গাড়ি নিয়ে তিনধুরেতে পৌঁছে যাওয়া যায়। এবার ছুটির ব্যস্ততা ভুলে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন এই অফবিট গন্তব্যের (Tindhurey Tourist Spot) পথে। আর দেখুন, প্রকৃতি কীভাবে আপনাকে তার নিঃশব্দ ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরে। তিনধুরে শুধু একটি ভ্রমণ নয়, এটি প্রকৃতির সঙ্গে গভীর বন্ধনের সুযোগ। প্রকৃতির নীরব সান্নিধ্যে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আপনার স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে।