প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ ৩ জনকে বরখাস্ত করলো বিশ্বভারতী

অমরনাথ দত্ত : বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম কর্মসমিতির নিয়োগ নিয়ে সোচ্চার হোন। এরপর উপাচার্য দুলাল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই কমিটির রিপোর্টে গাফিলতি প্রমাণিত হওয়ায় গত ১২ই জুন সাসেপন্ড করা হয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ পরবর্তী ৩ আধিকারিককে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ই আগস্ট রিপোর্ট জমা দেয়। যার পরেই বরখাস্তের অর্ডার বের করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

এরপর গতকাল অর্থাৎ ২৮ শে আগস্ট বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটি কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয় ওই তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করার। ইতিমধ্যেই সেই বরখাস্তের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী বিশ্বভারতীর প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন, প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত কর্মসূচির তথা বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্টার সৌগত চট্টোপাধ্যায় এবং বিশ্বভারতীর শিক্ষা ভবনের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শমিত রায়কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলো বিশ্বভারতী।

এই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্বভারতীর সংবিধান অনুযায়ী স্থায়ী কোন উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে অভিজ্ঞ অর্থাৎ সিনিয়র প্রফেসর অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন। সেইমতো অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার পেয়েছিলেন। কিন্তু সবুজকলি সেনের সিনিয়র আধিকারিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কর্মসমিতি গৃহীত সিদ্ধান্ত নকল করে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দপ্তরে রেজুলেশন পাঠায়।

২০১৮ সালের ১৭ ই ফেব্রুয়ারি কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তকে বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে এই ৩ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্তদের দাবি অত্যন্ত বেআইনিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের সুবিচার পেতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।