বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ, উত্তেজনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে

অমরনাথ দত্ত : বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সাথে কর্মীসভার বিরোধ বহু দিনের। পে কমিশনের টাকা পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। সেই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিন কর্মবিরতি পালন করেন কর্মী সভার সদস্যরা। আজ দুপুরে ফের উপাচার্যের দপ্তরের তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীসভা।

উপাচার্যকে তার দপ্তরের ভিতরে রেখেই দরজায় তালা মেরে দেন কর্মীরা। তাদের দাবি, বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিভিন্ন রকম অনৈতিক কাজ কর্ম করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুইজন কর্মীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তারা। যতক্ষণ না তাদের পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ততক্ষণ দপ্তরের তালা খুলবে না বলে জানিয়েছে কর্মীসভা।

তার মধ্যেই উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তারা দপ্তরে প্রবেশ করতে চাইলে কর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় পড়ুয়াদের।

এ বিষয়ে এক বিক্ষোভকারী বিশ্বভারতীর কর্মী গগন সরকারের দাবি, “আমাদের দুজন কর্মীকে অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্বভারতী থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপাচার্যের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছিল বলেই তাদেরকে কলকাতার গ্রন্থনবিভাগ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আজ বিক্ষোভ চলাকালীন উপাচার্য কিছু বহিরাগতদের দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করেছিল। উপাচার্যের কিছু পেটুয়া লোক এই সমস্ত কার্যকলাপ করছে।”

অপরদিকে বিশ্বভারতীর পিআরও অনির্বাণ সরকারের দাবি, “বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তাদেরকে ট্রান্সপার করা হয়নি। এটা একটা রুটিন টান্সফার, সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফার করা হয়। ইউনিভার্সিটির প্রয়োজনে ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে তাহলে টান্সফার করা হয়। যে গুন্ডাগিরি বিশ্বভারতীতে করা হয়েছে তা লজ্জাজনক, এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।”

তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন, “এটা একটা রুটিন ট্রান্সফার, পরবর্তী ক্ষেত্রে এরকম ট্রান্সফার আরও হবে। ট্রান্সফার না হলে কাজ স্তব্ধ হয়ে যাবে।”