এক ট্রেনে ৯ রাজ্য, অবাক করা এই ট্রেন সময় নেই মাত্র ৮০ ঘন্টা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের অন্য বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে ভারতে। প্রায় ১১৫,০০০ কিলোমিটারের এই রেল নেটওয়ার্কে রয়েছে ৭,৩৪৯টি রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন এই সকল রেল স্টেশন থেকে পাড়ি দেয় ২০ হাজারের বেশি যাত্রীবাহী এবং ৭ হাজারের বেশি পণ্যবাহী ট্রেন। এই সকল ট্রেনের উপর দেশের অধিকাংশ মানুষ নির্ভরশীল হওয়ায় রেল পরিষেবাকে ভারতের গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়।

ভারতের গণপরিবহনের এই মেরুদন্ডে এমন একটি ট্রেন রয়েছে যেটি তার গন্তব্য থেকে পরপর ৯টি রাজ্য পার করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই ৯টি রাজ্য পার করতে ট্রেনটি সময় নেয় ৮০ ঘন্টা অর্থাৎ তিন দিনের কিছু বেশি সময়। হিসেব অনুযায়ী এটি দেশের বৃহত্তম যাত্রাপথ পার করা এবং দীর্ঘতম সময়ের ট্রেন।

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মজয়ন্তীতে ২০১৩ সালে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মজয়ন্তীতে শুরু হওয়া এই ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে বিবেক এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যাতায়াত করে। দেশের দীর্ঘতম এই ট্রেনের যাত্রাপথের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪,২৭৩ কিলোমিটার। দীর্ঘতম এই পথে ট্রেনটি ৮০ ঘন্টা ১৫ মিনিটে ৫৮ টি রেলওয়ে স্টেশনে স্টপেজ দেয়।

ট্রেনটি ডিব্রুগড় থেকে ছাড়ার পর তিনসুকিয়া, ডিমাপুর, গুয়াহাটি, বোঙ্গাইগাঁও, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, কিষাণগঞ্জ, মালদা, রামপুরহাট, পাকুড়, দুর্গাপুর, আসানসোল, খড়গপুর, বালাসোর, কটক, ভুবনেশ্বর, খুড়দা, বেরহমপুর সহ উত্তর থেকে দক্ষিণে বেশ কয়েকটি স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায়। এটি শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, বিশাখাপত্তনম, সামলকোট, রাজমুন্দ্রি, এলুরু, বিজয়ওয়াড়া, ওঙ্গোল, নেল্লোর, রেনিগুন্টা, ভেলোর, সালেম, ইরোড, কোয়েম্বাত্তুর, পলক্কড়, ত্রিশূর, আলুভা, এরনাকুলম, কোট্টায়ম, কোল্লম, নাগরকোইলম এবং তিরুবনন্তপুরমের মধ্য দিয়ে চলে যায়।

এই ট্রেনটি কেবলমাত্র ভারতের দীর্ঘতম রুটের ট্রেন নয়, এছাড়াও এই ট্রেনটি বিশ্বের দীর্ঘতম রুটের ট্রেনের তালিকায় ২৪ নম্বরে রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম ট্রেন রুটটি রয়েছে রাশিয়ার মস্কোতে। সেখানে যে রুটটি রয়েছে তার দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৯,২৫০ কিলোমিটার। এই রুট পার করতে সময় লাগে ৬ দিন।