Mobile থেকে ২ মিনিটে করুন Voter Card ভেরিফিকেশন, জেনে নিন পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন যে কেউ বাড়িতে বসেই নিজের স্মার্টফোন থেকে। এর জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে কেবলমাত্র একটি মোবাইল অ্যাপ। যা ভারতীয় ইলেকশন কমিশন ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে রেখেছে।

সেজন্য আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে, সেখানে ‘Voter Helpline’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন অ্যাপটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা প্রদত্ত কিনা, অন্য কোন সংস্থার দ্বারা আপলোড হয়ে থাকলে সেটি ডাউনলোড করবেন না। কারণ তাতে আপনি প্রতারণা সম্মুখীন হতে পারেন। আর যদি কারোর এই অ্যাপটি আগে থেকেই ডাউনলোড করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপডেট করে নিন।

অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে যাওয়ার পর আপনি সেটি খুললে শর্ত চাওয়া হবে যেটিতে টিক দিয়ে ‘I Agree’-তে ক্লিক করলেই পরবর্তী পর্যায়ে আপনি পৌঁছে যাবেন। সেখানে দেখতে পাবেন ‘EVP’ নামে একটি ট্যাব রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায় ‘ELECTORAL VERIFICATION PROGRAM’-এ। তারপর সেখানে যা যা ‘ALLOW’ করতে বলবে আপনি তা করে সম্মতি দিবেন।

তারপরেই আলাদা একটি স্ক্রীন আসবে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিতে হবে। সেই মোবাইল নাম্বারটি দিন যেটি সক্রিয় আছে এবং আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সংযুক্ত করতে চাইছেন। তারপর নিচে পাবেন ‘SEND OTP’ অপশন, এখানে ক্লীক করেই আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। যেটি নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে দিন এবং লগইন করুন। তারপর পরবর্তী স্টেজে পাবেন এপিক নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার তথ্য খোঁজার জায়গা। এখানে আপনি আপনার এপিক নাম্বার দিয়ে খুঁজে নিন আপনার ভোটার তথ্য।

নিজের ভোটার তথ্য খুঁজে পেলে আপনি দেখতে পাবেন ‘its me’ বলে একটা অপশন রয়েছে, এখানে ক্লিক করুন। এরপরেই আপনি পাবেন যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আপনি ভেরিফিকেশন করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি আপনার এপিক নাম্বারের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ‘YES’ অথবা ‘NO’ অপশন। তারপর ‘YES’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার এপিক নাম্বারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপর ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করলেই আবার আপনি আপনার ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি আপনার নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ, ছবি প্রায় সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার এগুলি পরিবর্তন করার পর ‘MODIFY’ অপশনে ক্লিক করে সাপোর্টেড ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এখানে আপনি নিজে ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টের ছবি তুলে আপলোড করার সুযোগ পাবেন। ছবি আপলোড করে পরবর্তী পর্যায়ে জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ঠিকানা নিজে থেকেই সংগ্রহ করবে ইলেকশন কমিশন দপ্তর। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ইলেকশন কমিশনের ওই অ্যাপটি যা যা পারমিশন বা সম্মতি চাইবে সবেই সম্মতি দেবেন।

এরপর ঠিকানা সঠিক প্রমাণ করার জন্য আপনাকে একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য আপনি অপশন পাবেন ‘TYPE OF DOCUMENT’, সেখানে ক্লিক করে আপনি যে ধরনের ডকুমেন্ট আপলোড করতে চাইছেন সেটি বেছে নিয়ে ডকুমেন্ট আপডেট করার অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ঠিকানা স্বপক্ষে যে ডকুমেন্ট দিতে চাইছেন সেটি আপলোড করে দিন, সঠিক হলে ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

আপনার নিজের এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর আপনি আবার দুটি অপশন পাবেন। যে দুটি অপশন হলো, ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ আর অন্যটি ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’. এখানে আপনি আপনার ভোটার কেন্দ্রের বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে, যেটি আপনি দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন।

আগের দুটি অপশনের মধ্যে ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যদি পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে না চান তাহলে ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’ এ ক্লিক করুন। ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’-এ ক্লিক করলে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।

এরপর আপনি পাবেন তিনটি অপশন ‘ADD FAMILY MEMBER’, ‘VIEW MY FAMILY TREE’, ‘FINALIZE MY TREE’. এখানে আপনাকে ADD FAMILY MEMBER’-এ ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি আপনার নিজের ক্ষেত্রে যেভাবে এপিক নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করেছিলেন ঠিক তেমনভাবেই আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এখানে মনে রাখবেন নাকি অপশন পাওয়া যাবে যে, আপনি যে পরিবারের সদস্যের ভোটার ভেরিফিকেশন করছেন তিনি কি আপনার সাথে থাকেন, না আলাদা থাকেন। যেটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটি আপনি দিবেন। এছাড়াও তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক তাও জানাতে হবে।

এছাড়াও এই অপশনে আপনি পাবেন নতুন ভোটার হিসাবে পরিবারের কোনো সদস্যকে যোগ করার। যদি তার বয়স ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ১৮ বছর হয়ে থাকে। নতুন ভোটার সংযোজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনাকে তৈরি রাখতে হবে এবং সেগুলিকে যথাযথ জায়গায় ওই অ্যাপের মাধ্যমেই আপলোড করতে হবে। এরপর আপনি ‘DOWNLOAD MY CERTIFICATE’ বলে একটি অপশন পাবেন ক্লিক করে ডাউনলোড করে নেবেন।