খামখেয়ালী আবহাওয়ায় রোগের প্রকোপ, লক্ষণ দেখে জ্বর চিনুন

নিজস্ব প্রতিবেদন : কখনো গরম, কখনো ঠান্ডা, কখনো আবার বৃষ্টি! আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ছোট থেকে বড় সকলেরই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান রোগের। যার মধ্যে জ্বর হলো অন্যতম। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ছাড়াও রয়েছে মশার উপদ্রব। তাই জ্বর হলেই একপ্রকার আতঙ্ক গ্রাস করে, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া নয়তো! তবে জ্বরের সময় লক্ষণ দেখে চেনা সম্ভব কি প্রকারের জ্বর।

সাধারণ জ্বর (ফ্লু) : ছোট থেকে বড় সবার মধ্যে সাধারণ জ্বর চেনা সম্ভব সর্দি, জ্বর, হাঁচিকাশি, নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়া, চোখ ছল ছল করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে জ্বর দ্রুত নামে। এছাড়াও সাধারণ জ্বরের আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। মাংসপেশিতে ব্যথা, গলা খুসখুস করা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা এবং খাবারের ক্ষেত্রে স্বাদহীনতা।

ম্যালেরিয়া : ম্যালেরিয়া জ্বর বোঝা যায় হঠাৎ করে কাঁপুনির লক্ষণ দেখে। মাথা ও গাঁটে ব্যথা। পাশাপাশি বমি, দুর্বলতা দেখা দেয়। বেশি বাড়াবাড়ি হলে খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে।

টাইফয়েড : টাইফয়েডের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। পাশাপাশি পেটে ও মাথায় ব্যথা থাকে। জ্বর ১০৩ থেকে ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। দিনদিন পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রা বাড়ে, আর জ্বর নামে খুব ধীরগতিতে। জ্বর ছাড়াও পেটের গন্ডগোল, গা গোলানো ও বমির মতো উপশম দেখা দেয়।

চিকুনগুনিয়া : ২ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এই জ্বরের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি গাঁটে ব্যথা থাকে। পাশাপাশি থাকে দুর্বলতা, গা বমি বমি ভাব, কনজাংটিভাইটিস, খাবারে স্বাদহীনতা।

ডেঙ্গি : এইবারের ক্ষেত্রে কম করে ৫ দিন মারাত্মক জ্বর থাকে। মাথা ও চোখের পিছন দিকে ব্যথা থাকে। পাশাপাশি গোটা শরীরে ব্যথা গ্রাস করে, বিশেষ করে হাড়ে। দুর্বলতার পাশাপাশি স্কিন র‍্যাশ, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। ডেঙ্গি জ্বরের ক্ষেত্রে সাধারণত সর্দি কাশির লক্ষণ দেখা যায় না। এই জ্বরে মারী ও নাকের পাশাপাশি বমি, প্রস্রাব ও পায়খানার সাথে রক্ত বের হতে পারে।

তবে মনে রাখবেন, বাড়িতে কারোর জ্বর হলে সেই জ্বর ছাড়ার লক্ষণ না দেখলে অতি অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।