দূর্গোৎসব নিয়ে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করলো রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নানান পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের ফলে লাগামছাড়া আনন্দে বাঁধ তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ যাতে নতুন করে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য গত বছর থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নানান বিধিনিষেধ জারি করা হয়। আর এই সকল বিধিনিষেধ গত বছরের মতো এ বছরও জারি হল দুর্গাপূজোর ক্ষেত্রে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে বাঙ্গালীদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো তা নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১১ দফার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিন এই নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত বছরের মতো এ বছরও হবে না সরকারি কার্নিভাল।

১) পুজো মণ্ডপ হতে হবে চারদিক খোলা। প্রবেশ এবং বাহির পথ আলাদা আলাদা হতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপের পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রাখতে হবে।

২) প্রতিটি মন্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক।

৩) মণ্ডপে মণ্ডপে যত বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। এই সকল স্বেচ্ছাসেবকদেরও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

৪) গত বছর পুজোর সময় সিঁদুর খেলা, অঞ্জলি এবং দেবী বরণের ক্ষেত্রে একাধিক বিধিনিষেধ থাকলেও এই বছর সেই সকল ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে এই সকল করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রাখতে হবে এবং ছোট ছোট গ্রুপ করে এগুলি করতে হবে।

৫) পুজোর সময় মন্ত্রোচ্চারণ যাতে দূর থেকে শোনা যায় তার জন্য পুরোহিতদের মাইক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৬) অঞ্জলি দেওয়ার জন্য ফুল বাড়ি থেকে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুজো মণ্ডপে কোনরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

৭) পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ দুটি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বিচারকদের মণ্ডপে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

৮) ভিড় কমাতে পুজো কমিটিগুলিকে বৈদ্যুতিন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৯) পুজো উদ্বোধন অথবা বিসর্জনের ক্ষেত্রে তেমন জাঁকজমক কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করার কথাও বলা হয়েছে।

১০) প্রতিমা সরাসরি ঘাটে আনতে হবে। মাঝে অন্য কোথাও দাঁড়ানো চলবে না। পাশাপাশি নদী অথবা পুকুরে বিসর্জনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্লট বেঁধে দেওয়া হবে এবং সেই অনুযায়ী বিসর্জন করতে হবে।

১১) পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি অনলাইনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।