বর্ষশেষে উধাও জাঁকিয়ে শীত, ফের কবে মিলবে দেখা, জানালো হাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের পর ধীরে ধীরে বাংলা জুড়ে শীতের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস এমনটাই ছিল। তবে সেই শীতের প্রকোপে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি করে। কিন্তু সেই জাঁকিয়ে শীত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

মাত্র দিন দুয়েকের পরই ফের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে প্রতিটি জেলাতেই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল ডিসেম্বরের শেষেও এই জাঁকিয়ে শীত লক্ষ্য করা যাবে। কিন্তু সেই পূর্বাভাসের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। শ্রীলঙ্কা এবং ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে নিম্নচাপ অক্ষরেখায় পরিণত হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণেই তাপমাত্রার এই উত্থান।

তাপমাত্রার এই উত্থানে ইতিমধ্যেই পশ্চিমের জেলা বীরভূমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৪ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিক। পাশাপাশি ২৯ এবং ৩১ ডিসেম্বর হালকা বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।

অন্যদিকে কলকাতার ক্ষেত্রেও দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রবিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১° কম থাকলেও তা ২৫.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মোটের উপর বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে আগামী কয়েকদিন জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে না রাজ্যে এমনটাই মনে করছে হাওয়া অফিস। তবে এই জাঁকিয়ে শীত না থাকলেও মনোরম পরিবেশ বজায় থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ফের তাপমাত্রার বড়োসড়ো প্রথম লক্ষ্য করা যাবে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, বলেই অনুমান হাওয়া অফিসের।