ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, শীতের পথে কাঁটা পড়ার সম্ভাবনা, কি জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই শীতের অনুভূতি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। শীতের অনুভূতি শুরু হয়েছে বললে ভুল হবে, কারণ ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ অনেক নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শীত প্রেমী মানুষেরা জাঁকিয়ে শীতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

তবে জাঁকিয়ে শীতের দিকে তাকিয়ে থাকলেও শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এমনই পূর্বাভাস মিলেছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। যদি সেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে তার নাম হবে মান্দাস। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে তার প্রভাব কি সরাসরি বাংলায় পড়বে? তাহলে কি ফের বাংলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত এবং ঘূর্ণিঝড় তৈরির পূর্বাভাস নিলেও এর প্রভাব সরাসরি বাংলার উপর পড়বে না বলেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এর প্রভাবেই বাংলায় এখন যে ঠান্ডার প্রভাব দেখা যাচ্ছে তার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে এই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত এবং ঘূর্ণিঝড়।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং সেই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাবে অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। এই যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের তরফ থেকে এবং এর অর্থ হল ভেলা।

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর তা অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং তার প্রভাব বাংলার উপর সেই ভাবে না পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও তাপমাত্রার হেরফেরের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।