ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়, ১১ জেলায় তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া গরমের পর গত বৃহস্পতিবার প্রথম কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) মুখোমুখি হলো রাজ্য। কালবৈশাখীর মুখোমুখি হতে তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। এমনকি শুক্রবার সকাল থেকেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা বৃষ্টির পাশাপাশি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে। এমন পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা আগেই হাওয়া অফিসের (Weather Forecast) তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ মার্চ অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখীর দেখা মিলবে এবং ঝড় বৃষ্টির দাপট দেখা যাবে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত্যের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্তের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে একটি অক্ষরেখা। যে অক্ষরেখাটি গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যার উপর দিয়ে। অন্যদিকে আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে তামিলনাড়ু থেকে কঙ্কন পর্যন্ত। যেটি আবার গিয়েছে কর্ণাটক ও গোয়ার উপর দিয়ে।

অন্যদিকে আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থানের কাছে। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে পশ্চিম-পূর্ব রাজস্থান থেকে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এসবের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকেছে বাংলায় আর তার ফলেই বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, শনিবার প্রবল ঝড় বৃষ্টির মুখোমুখি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলা। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। শনিবারের পাশাপাশি মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা যে সকল জেলায় রয়েছে সেগুলি হল কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ।