বাড়ছে ঝঞ্ঝার দাপট, রাত পোহালেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এই সকল জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন বছরের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে শীত লক্ষ্য করা গেলেও দিন দুয়েক যেতে না যেতেই সেই শীত উধাও হয়েছে। এই শীত উধাও হওয়ার মূলে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। ক্রমেই বেড়ে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার এই দাপট এবং হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রাত পোহালেই একাধিক জেলায় দেখা যাবে বৃষ্টি।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ মঙ্গলবার ১৮.৬ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। এদিন এই এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকলেও আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে হালকা বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে। বৃষ্টির প্রভাব থাকবে শনিবার পর্যন্ত।

অন্যদিকে শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পাওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রী বেশি। মঙ্গলবার থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামে। এই সকল জেলায় আগামীকাল অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এই সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের দু’ এক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।”

রাজস্থান থেকে আসা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার শক্তি বৃদ্ধি করার কারণেই এই বিপত্তির সূত্রপাত। অন্যদিকে এই বৃষ্টির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাসে ইতিমধ্যেই আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন বিভিন্ন জেলার চাষীরা। আলু থেকে শুরু করে শীতকালীন অন্যান্য ফসল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।