নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমার বিষয়ে। আর সেই পূর্বাভাস মতই দুর্বল হয়েছে বর্ষা। আর এই বর্ষা দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি অস্বস্তিকর গরম ফিরতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে বর্ষা দুর্বল হওয়ার কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলায়। কারণ দিন কয়েক ধরেই এই সকল এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছিল।
দিন কয়েক ধরেই দক্ষিণবঙ্গে খুব সক্রিয় হয়ে পড়েছিল বর্ষা। যে কারণে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই দিনতিনেক মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু নদ-নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছিল। নদ নদীতে জল বাড়ার কারণে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর থাকা তিলপাড়া জলাধার, ব্রাহ্মণী নদীর উপর থাকা জলাধার ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি জলাধার থেকে কয়েক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। আর এই জল ছাড়ার কারণে ইতিমধ্যেই বন্যার ভ্রুকুটি দেখা যায় বেশ কিছু এলাকায়। পাশাপাশি মহঃবাজার ব্লকের উপর দিয়ে যাওয়া দ্বারকা নদীর ওপর থাকা একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙ্গে পড়ে। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কমকরে ৩০ টি গ্রাম। আর এবার বর্ষা দুর্বল হওয়ায় স্বস্তি মিলেছে এই সকল এলাকায়।
বর্তমানে রাজ্যের উপর থাকা মৌসুমী অক্ষরেখাটি কিছুটা দক্ষিণে নেমেছে, যার ফলে বৃষ্টি কমেছে রাজ্যজুড়ে। তবে দুদিন বৃষ্টি কমলে উত্তরবঙ্গের সোমবার থেকে পুনরায় মুষলধারে বৃষ্টি পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গল ও বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে উত্তরবঙ্গে নতুন করে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে পুনরায় সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। বরং আগামী দিন কয়েক দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা তরতরিয়ে চড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়ে কালবৈশাখীর বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।